ঢাকা, শনিবার, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

করলা-কাঁচা কলার দাম বেড়েছে, স্বস্তি পেঁপে-ধুন্দলে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১৭ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
করলা-কাঁচা কলার দাম বেড়েছে, স্বস্তি পেঁপে-ধুন্দলে কাঁচা বাজারে দোকানে ক্রেতারা

ঢাকা: গত সপ্তাহের তুলনায় এই সপ্তাহে সবজির বাজার কিছুটা শান্ত হয়েছে, এমনটি বলছেন বিক্রেতারা। করলা, সবুজ গোল বেগুন ও কাঁচা কলার দাম কিছুটা বাড়লেও অন্যান্য সবজির দাম কমেছে কিংবা আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (৯ জুন) সরেজমিনে রাজধানীর খিলগাঁও বাজার, সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজার, মালিবাগ বাজার ও মেরাদিয়া বাজারসহ বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।  

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে বর্তমানে প্রতি কেজি করলা বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়। ৬০ টাকা বিক্রি হওয়া লম্বা বেগুন এই সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০-৯০ টাকায়।  

গত সপ্তাহের তুলনায় কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে গোল সবুজ বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হওয়া কাঁচা কলা চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।  

দাম কমার মধ্যে বর্তমানে প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০- ৮০ টাকা। গত সপ্তাহে ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁপে এই সপ্তাহে ১০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে।

৬০ টাকায় বিক্রি হওয়ার কাঁকরোল এ সপ্তাহে বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া কচুর মুখি এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।  

৬০ টাকা কেজির ঝিঙা এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। ৬০ টাকার ধুন্দল এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গা এ সপ্তাহের বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা দরে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি ৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুনি রঙের গোল বেগুন এ সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।  

আগের সপ্তাহের মতো বরবটি প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। মূলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।  

আকারভেদে জালিকুমড়া প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও বিক্রেতারা বলছেন জালিকুমড়ার স্বাভাবিক দাম হওয়ার কথা ছিল প্রতি পিস ৪০-৫০ টাকা। টমেটো ৬০, ভেন্ডি ৪০-৫০ ও পটল ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।  

মেরাদিয়া হাটে সবজি কিনতে এসেছিলেন চাকরিজীবী নারী ফাতেমা। সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম কেমন মনে হচ্ছে- জানতে চাইলে এই নারী বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে কোনো জিনিসপত্রের দামই নাগালের মধ্যে নেই। সবকিছুই নাগালের বাইরে।  

তিনি বলেন, দরিদ্রদের এমন অবস্থা হচ্ছে, না খেয়ে থাকার উপক্রম। যাদের হয়তো কিছুটা মাসিক আয় আছে, তারা কোনোরকম চলতে পারবেন। তবে জিনিসপত্রের দাম এভাবে বাড়তে থাকলে সাধারণ মানুষের জীবনযাপন কষ্টকর হয়ে উঠবে।  

খিলগাঁও বাজারের সবজি বিক্রেতা আবুবকর সবজির দাম নিয়ে বাংলানিউজকে বলেন, সবজির বাজার এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। সবজির বাজার নির্ভর করে বৃষ্টির উপর। বৃষ্টি হলে সবজির ফলন ভাল হয়। তখন পাইকারি বাজারে দামও কম থাকে। তবে অতিরিক্ত বৃষ্টি ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে বাজারে সবজি বেশি পরিমাণে আসছে তাই দাম কিছুটা কম।  

বাংলাদেশ সময়: ১২০১ ঘণ্টা, জুন ৯, ২০২৩
ইএসএস/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।