ঢাকা, শনিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে, কমেছে জার্মানিতে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩২০ ঘণ্টা, আগস্ট ৯, ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে, কমেছে জার্মানিতে

ঢাকা: রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি ৬ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে। টাকার অংকে যেটি ৭২৯ দশমিক ০৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

 

যা ২০২২-২৩ সালের জুলাই মাসে ছিল ৬৮৫ দশমিক ৭৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।

ইপিবির বরাত দিয়ে বুধবার (০৯ আগস্ট) এ তথ্য জানিয়েছে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ।

উল্লিখিত সময়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রপ্তানি গন্তব্য জার্মানিতে রপ্তানি ০ দশমিক ৭০ শতাংশ কমেছে। ফলে সেখানে রপ্তানি আয় টাকার অংকে ৫১৪  মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একই সময়ে ফিনল্যান্ড, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, এস্তোনিয়া, লিথুনিয়া, মাল্টা, স্লোভাকিয়া এবং স্লোভানিয়াতে রপ্তানি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বাজারে পোশাক রপ্তানি গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ দশমিক ৪০ শতাংশ বেড়ে ১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ১ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।

এ সময়ের মধ্যে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ড এবং পোল্যান্ডের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়ন অঞ্চলের কিছু বড় বাজারে আমাদের রপ্তানি যথাক্রমে ৩৬ দশমিক ৩৫ শতাংশ, ২২ দশমিক ৭১ শতাংশ, ৩৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ২৩ দশমিক ০৩ শতাংশ এবং ১৮ দশমিক ০৭ বেড়েছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই মাসে যুক্তরাজ্য এবং কানাডায় রপ্তানি যথাক্রমে ৪৭৫ দশমিক ৫৪ মিলিয়ন এবং ১২৮ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। সেই সঙ্গে গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ২৯ দশমিক ৭৮ শতাংশ এবং ১৪ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

একই সময়ে অপ্রচলিত বাজারে পোশাক রপ্তানি ২৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ বেড়েছে। টাকার অংকে এটি ৬৭৪ দশমিক ৮২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। প্রধান অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় রপ্তানি যথাক্রমে ৪৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ৫৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, ২ দশমিক ৬০ শতাংশ এবং ১৯ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেড়েছে।

এ বিষয়ে বিজিএমইএ'র পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, অপ্রচলিত বাজারগুলোতে আমরা ভালো করছি। আমরা বারবার আমাদের উৎপাদনকারীদের বলেছি, প্রচলিত বাজার থেকে বের হয়ে এসে নতুন-নতুন বাজার খুঁজতে হবে। যেখানে আমাদের ফোকাস ছিল না। যেখানে কিনা চীনের প্রাধান্য ছিল বা অন্যান্য  দেশের প্রাধান্য ছিল। আমরা মধ্যপ্রাচ্যের কথা বলব। টার্কিতে (তুরস্ক) আমরা অনেক ভালো করেছি এবার। ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবার সেখানে। এছাড়া, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব আছে। সব মিলিয়ে আমরা যত বেশি অপ্রচলিত বাজারে যেতে পারব, আমাদের ইউরোপ-আমেরিকার ওপর নির্ভরতা কমবে৷ পণ্যের ভিন্নতা বাড়বে, কারণ এসব দেশে ঋতুর ভিন্নতা বেশি। সব মিলিয়ে, আমাদের সক্ষমতা বাড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ২৩১৬ ঘণ্টা, আগস্ট ০৯, ২০২৩
এমকে/এসআই
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।