ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ছয় দিন পর সিলেটের স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি শুরু 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩১ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
ছয় দিন পর সিলেটের স্থলবন্দর দিয়ে পাথর আমদানি শুরু 

সিলেট: রাজস্ব বাড়ার প্রতিবাদে টানা ছয় দিন বন্ধ থাকার পর সিলেটের তামাবিল ও সুতারকান্দি স্থলবন্দরসহ সব শুল্ক স্টেশন দিয়ে পাথর আমদানি শুরু হয়েছে।

সোমবার (২১ আগস্ট) দুপুর ১২টা ১মিনিট থেকে ভারত থেকে পাথর আমদানি শুরু হয়।

কাস্টমস এক্সাইজ ভ্যাট কমিশনারেট সিলেটের উপ কমিশনার (সদর দপ্তর) সোলাইমান হোসেন বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বোল্ডার ও চুনাপাথরে আমদানিতে টন প্রতি যথাক্রমে ১১ ও সাড়ে ১১ ডলার থেকে ১২ সাড়ে ১২ ডলার করার প্রস্তাবনা ছিল। কিন্তু ব্যবসায়ীরা তাতে রাজি হননি। তারা পাথর আমদানি বন্ধ রাখেন। রোববার (২০ আগস্ট) ব্যবসায়ীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এক ডলারের কম অর্থাৎ ৭৫ সেন্ট করে টন প্রতি রাজস্ব বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে সম্মত হয়ে ব্যবসায়ীরা আজ থেকে শুষ্ক বন্দর দিয়ে পাথর-চুনাপাথর আমদানি শুরু করেছেন। তবে কয়লা কিংবা অন্য কোনো পণ্য আমদানি নিয়ে কোনো ধরনের ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়নি।
 
তিনি বলেন, প্রায় দুই বছর আগে বোল্ডার ও চুনাপাথরে আমদানিতে টন প্রতি যথাক্রমে ১১ ও সাড়ে ১১ ডলার ধার্য ছিল। এছাড়া ৭/৮ বছর আগে বোল্ডার ও চুনাপাথর আমদানিতে টন প্রতি রাজস্ব ছিল ৯ ও সাড়ে ৯ ডলার।

ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি শুল্ক ও কাস্টমস ডিউটি বৃদ্ধির প্রতিবাদে বুধবার (১৬ আগস্ট) থেকে সিলেট বিভাগের সব স্থলবন্দর ও শুল্কস্টেশন দিয়ে পাথর ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়।

জানা যায়, শুল্ক বাড়ানো নিয়ে কয়েকদিন ধরেই স্থলবন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমদানিকারকদের বাদানুবাদ চলছে। ব্যবসায়ীরা বাড়তি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানালেও কাস্টমস কর্মকর্তারা এতে রাজি হননি। অবশ্য রোববার (২০ আগস্ট) আলোচনায় সমাধান হওয়ায় আমদানি সচল করা হয়।

ব্যবসায়ী নেতারা বলেন, এমনিতেই ব্যবসার অবস্থা খারাপ। তার ওপর টন প্রতি দুই ডলার করে কাস্টমস ডিউটি বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কাস্টমসের পক্ষ থেকে মৌখিকভাবে চুনাপাথরের ডিউটি (ইমপোর্ট অ্যাসেসমেন্ট রেট) সাড়ে ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ১২ ডলার এবং বড় পাথরের (বোল্ডার) রেট ১১ ডলার থেকে বাড়িয়ে ১৩ ডলার করার কথা জানানো হয়েছে। এর ফলে প্রতি ট্রাকে ব্যয় ১২০০ থেকে ১৩০০ টাকা বেড়ে যাবে। তাই সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত বোল্ডার ও চুনাপাথর আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ২১, ২০২৩
এনইউ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।