ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কমেছে সবজির দাম, মাছ-মাংস আগের মতোই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
কমেছে সবজির দাম, মাছ-মাংস আগের মতোই

ঢাকা: সপ্তাহ ব্যবধানে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। শীতকালীন সবজির উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

 

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে শীতকালীন সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় দামের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়েছে। সব ধরনের সবজি কেজি প্রতি ১০ থেকে শুরু করে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।  

সবজি বিক্রেতারা বলছেন, এই সপ্তাহে সব ধরনের সবজির দাম কমেছে। শীতকালীন সবজির উৎপাদন ও সরবরাহ বেড়ে যাওয়ার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহে সবজির দাম আরও কমবে বলেও মনে করছেন তারা।

তালতলার সবজি বিক্রেতা সোলাইমান বাংলানিউজকে বলেন, চলতি সপ্তাহে সব ধরনের সবজি কেজিপ্রতি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে। শীতের সবজি বাজার প্রচুর পরিমাণে আসছে, যার প্রভাব দামে পড়েছে। আগামী সপ্তাহ সবজির দাম আরও কমে আসবে।

বাজারে দাম কমে প্রতি কেজি বেগুন ৬০ থেকে ১৪০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩০০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৬০ টাকা, শিম ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ২০ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে বলেও জানান বিক্রেতারা।

শেওড়াপাড়া বাজারে মুরগি বিক্রেতা মিলন বাংলানিউজকে বলেন,  গত সপ্তাহের দামেই ব্রয়লারসহ অন্যান্য মুরগি বিক্রি হচ্ছে। সোনালির কেজি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়। আর দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।  

বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৬০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৪৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ২০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকা এবং পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বাইম মাছ এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, শোল মাছ ৭০০ টাকা ও আইড় মাছ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
এসএমএকে/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।