ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়লেও হরতালের প্রভাব পড়েনি বাজারে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
আলু-পেঁয়াজের দাম বাড়লেও হরতালের প্রভাব পড়েনি বাজারে

ঢাকা: বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর সকাল-সন্ধ্যা হরতালের প্রভাব পড়েনি বাজারে। আলু ও পেঁয়াজের দাম বাড়লেও বাকি সব পণ্যের দাম আগের মতোই স্থিতিশীল রয়েছে।

রোববার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর মহাখালী কাঁচা বাজার ও নিকেতন কাঁচা বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা গেছে।  

বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় শাক-সবজি, মাছ-মাংসের দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে পেঁয়াজ এবং আলুর দাম বেড়েছে। দাম বেড়ে ভারতীয় পেঁয়াজ ১০০ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আলু ৬২-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। গত ৩ দিন আগেও ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকা এবং দেশি পেঁয়াজ ১০০-১১০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

বাজারে বেগুন ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৮০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৭০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩০০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলুর কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ১০০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৬০ টাকা, শিম ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ২০ থেকে ২৫ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে বলেও জানান বিক্রেতারা।  

এছাড়া সোনালি মুরগি কেজি ৩২০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ৩০০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি এবং লেয়ার ৩৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।

বাজারে লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৫৫-৬০ টাকায়, হাঁসের ডিম ২২০ টাকায়। আর দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকা।  

বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি এক হাজার ৫০ থেকে এক হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  

প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৬০০ থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৪৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ২০০ টাকা, কাঁচকি মাছ ৬০০ টাকা এবং পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকা, রূপচাঁদা এক হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  

বাইম মাছ এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা, দেশি কই এক হাজার টাকা, মেনি মাছ ৭০০ টাকা, সোল মাছ ৭০০ টাকা ও আইড় মাছ ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

নিকেতন বাজার এলাকার সবজি বিক্রেতা শাহ আলম বাংলানিউজকে বলেন, বাজারে শাক-সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। যে কারণে দাম বাড়েনি। তবে, টানা হরতাল থাকলে বা সরবরাহ কমলে তখন দাম বাড়ার শঙ্কা জানিয়েছেন এই বিক্রেতা।

বাংলাদেশ সময়: ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০২৩
এমকে/এসএএইচ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।