ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সরকারের নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি কার্যকর করতে ডিসিদের নির্দেশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
সরকারের নির্ধারিত দামে আলু বিক্রি কার্যকর করতে ডিসিদের নির্দেশ ফাইল ছবি

ঢাকা: আগামীকাল বুধবার (১ নভেম্বর) থেকে কোল্ড স্টোরেজে আলু সরকারের নির্ধারিত (প্রতি কেজি ২৬-২৭ টাকা) দামে বিক্রি কার্যকর করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. হায়দার আলী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

 

এতে বলা হয়, দেশের সব কোল্ড স্টোরেজ থেকে, সরকারের নির্ধারিত দামে প্রতি কেজি আলু ২৬ থেকে ২৭ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। আগামীকাল বুধবার থেকে এই নির্দেশ বাস্তবায়নের জন্য  প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেয়া হয়েছে।

এর আগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সোমবার (৩০ অক্টোবর) একটি পত্র জারির মাধ্যমে জেলা প্রশাসকদের এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্য কন্ট্রোল অব এসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬ এর ৩ (২) (ই) অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় পত্রে।

আলু ব্যবসায়ীরা কোল্ড স্টোরেজ ও খুচরা পর্যায়ে সরকারনির্ধারিত মূল্য অপেক্ষা অত্যধিক দামে আলু বিক্রি করছেন। জনস্বার্থে আলুর বাজার স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে দ্য কন্ট্রোল অব এসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬ এর ৩ (২) (ই) অনুযায়ী জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে জরুরি ভিত্তিতে তার জেলাধীন কোল্ড স্টোরেজসমূহ থেকে সরকারনির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।  

এ ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকরা জেলা/উপজেলা পর্যায়ে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তাকে এক/একাধিক স্টোরেজ তত্ত্বাবধানে দায়িত্ব অর্পণ করবেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতে সরকারনির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি করবেন। এছাড়া ক্রেতাকে কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে বিক্রির পাকা রশিদ দেওয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরকার গত ১৪ সেপ্টেম্বর মাসে আলুর বিক্রিমূল্য কোল্ড স্টোরেজ পর্যায়ে প্রতি কেজি ২৬ থেকে ২৭ টাকা এবং খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা নির্ধারণ করে দেয়। কিন্তু এ নির্ধারিত মূল্যে কোল্ড স্টোরেজ ও খুচরা কোনো পর্যায়েই আলু বিক্রি হচ্ছে না।

এ প্রেক্ষাপটে দ্য কন্ট্রোল অব এসেনসিয়াল কমোডিটিস অ্যাক্ট-১৯৫৬ এর ৩ (২) (ই) অনুযায়ী কোল্ড স্টোরেজ থেকে সরকারনির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সব জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেওয়া হলো।

এদিকে দেশে আলুর উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকা সত্ত্বেও যৌক্তিক কারণ ছাড়াই পণ্যটি অস্বাভাবিক দামে বাজারে বিক্রি হওয়ায় তা আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

সরকারের নির্ধারিত মূল্যে আলু বিক্রি না হওয়া এবং বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বাজারে আলু সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সোমবার (৩০ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

এসময় নির্ধারিত মূল্যে আলু বাজারে বিক্রয় হচ্ছে কি না তার মনিটরিং করার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশ দেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোনো কোনো মহল আলুর বাজার অস্থিতিশীল করার অপতৎপরতায় লিপ্ত আছে বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে বাজারে আলুর পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতকল্পে এবং সরকারের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমদানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বর্ণিত প্রেক্ষাপটে আলু আমদানি করতে আগ্রহী ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন/যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হয়।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩১, ২০২৩
জিসিজি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।