ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

৫০ জাতের ফুলগাছের চারা এডওয়ার্ড কলেজের মেলায়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
৫০ জাতের ফুলগাছের চারা এডওয়ার্ড কলেজের মেলায়

পাবনা: পাবনায় জেলা নার্সারি মালিক সমিতির আয়োজনে সরকারি এডওয়ার্ড কলেজের কামাল উদ্দিন হল মাঠে চলছে ২১ দিনব্যাপী পুষ্পমেলা। পাবনা সদর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ সহযোগিতায় এবারের মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ মেলায় অর্ধশত জাতের ফুলের ও ২০ প্রকারের ফলের গাছের চারা উঠেছে বলে আয়োজকরা জানিয়েছেন।

মেলায় ৩০টি স্টলে নার্সারি মালিকেরা ফুল ও বিভিন্ন গাছের চারা নিয়ে বসেছেন। শীতকালীন পছন্দের বাহারি রঙের ফুলের চারার সঙ্গে ফলদ ও বনজ গাছের চারা সংগ্রহ করতে পারছেন ক্রেতারা। তাইতো প্রতিদিনই বৃক্ষ ও পুষ্পপ্রেমী ক্রেতারা আসছেন মেলায়।

শীত মৌসুমের মধ্যভাগে সারা দেশে পুষ্পমেলা হয়ে থাকে। তবে রাজনৈতিক কারণে এবার শীতের শেষদিকে এই মেলার আয়োজন করেছে পাবনা জেলা নার্সারি মালিক সমিতি।

আয়োজকরা বলেছেন, এবারের মেলায় প্রায় ৫০ প্রকারের ফুলের ও ২০ প্রকারের ফলের গাছের চারা উঠেছে। ফুলের মধ্যে গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা, গোলাপ, জিনিয়া, ঝুমকা লতা, বিটুনিয়া ছাড়াও দেশি-বিদেশি বিভিন্ন জাতের ফুলের গাছের চারা পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে আম, জাম, লিচু, স্ট্রবেরি, পেঁপে, আঙ্গুর, আপেলসহ বিভিন্ন জাতের দেশি ও বিদেশি ফলের গাছের চারা বিক্রি হচ্ছে।  

মেলার স্থান নির্বাচন সঠিক না হওয়ায় গত বছরের তুলনায় এবার বেচাবিক্রি কম হচ্ছে বলে অভিযোগ বিক্রেতাদের। তারা বলছেন, জেলার বেশিরভাগ ফুলচাষি ও নার্সারি মালিক বগুড়া ও যশোর থেকে ফুল ও ফলের চারা ও বীজ সংগ্রহ করে উপযুক্ত করে বিক্রি করে থাকেন

মেলায় আসা শিক্ষার্থী মৌমিতা সরকার বাংলানিউজকে বলেন, ফুলের বাগান আমার খুবই পছন্দের। আমার বাবা বিভিন্ন প্রকারের ফুল ও ফলের গাছ দিয়ে ছাদবাগান করেছেন। আমি নিজেও সেটা করার চেষ্টা করছি। তাই মেলায় পছন্দের গাছ কেনার চেষ্টার করছি।

শিক্ষক লাবনী আক্তার বলেন, পাবনায় ফুল মেলা হচ্ছে খবর পেয়ে দেখতে এসেছি। ভালো লাগছে, মেলায় একসঙ্গে সব কিছু পাওয়া যাচ্ছে।

জেলা নার্সারি মালিক সমিতির সভাপতি আনিসুর রহমান বলেন, পুষ্পমেলাটা আমরা নিজেদের উদ্যোগে প্রতিবছর করে আসছি। সারা দেশে সরকারিভাবে পুষ্পমেলার আয়োজন করা হলে আমাদের জন্য সুবিধা হতো। এবারের জাতীয় নির্বাচনের কারণে মেলার সময় পিছিয়ে গেছে। স্থানটা সঠিক নির্বাচিত না হওয়ার কারণে বেচাবিক্রি কম হচ্ছে। এবার মেলা করে আমাদের লোকসান হবে।

পাবনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শহানা পারভীন লাবনী বলেন, যারা নার্সারি মালিক রয়েছেন তাদের সঙ্গে নিয়ে এবারের মেলার আয়োজন করা হয়েছে। এখানে মিলনমেলার মত হয়েছে। নার্সারি, কৃষক ও গ্রাহক সবার সমন্বয়ে মেলা। অনেকেই আছেন যারা এই মেলার জন্য অপেক্ষা করেন। মেলা থেকে চারা-বীজ সংগ্রহ করে বাগান করেন। আমরা চেষ্টা করছি কৃষি ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় সবার অংশগ্রহণে একটি সুন্দর পরিবেশ ও সমাজ গঠনের জন্য।

গত ৪ ফেব্রুয়ারি মেলার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে মেলার গেট। মেলায় আগতদের বিনোদনের জন্য থাকছে সান্ধ্যকালীন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে সমাপ্ত হবে মেলার কার্যক্রম।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।