ঢাকা, রবিবার, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতার কেনার ভরসাস্থল আইসিসিবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০০ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৪
পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতার কেনার ভরসাস্থল আইসিসিবি ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতার ভোজনরসিকদের পছন্দের হলেও যানজট ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের কারণে অনেকেই এখন সেখানে যেতে দ্বিধাবোধ করেন। এই সমস্যার সমাধানে বিকল্প হিসেবে এসেছে রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) ইফতার বাজার।

আইসিসিবির ‘পুরান ঢাকা ইফতার বাজারে’ রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকেই ইফতার সামগ্রী কিনতে আসছেন ক্রেতারা। পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী বাহারি পদের ইফতার সামগ্রী থেকে নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী কেনাকাটা করছেন তারা।  

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) বিকেলে আইসিসিবির পুষ্পাঞ্জলি হলে ইফতার বাজার ঘুরে দেখা যায় এমন চিত্র।  

এদিন ইফতারের আগে খাবারের জন্য ক্রেতাদের ভিড় জমে প্রতিটি স্টলে। এই ইফতার বাজারে ৩২টি স্টল রয়েছে। পুরান ঢাকার বিখ্যাত কাবাব আইটেম পাওয়া যাচ্ছে এখানে। পাশাপাশি বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী শাহি খাবার থেকে আধুনিক সব খাবার ও তাজা ফলের জুসের সমাহারও রয়েছে। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ বাজারে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ইফতারের স্বাদ উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন ভোজনরসিকরা।  

খিলক্ষেত নামাপাড়া এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহ নিয়মিত আইসিসিবির ইফতার বাজার থেকে পরিবারের জন্য ইফতার কেনেন। কথা হলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি প্রতি বছর রমজান মাসে আইসিসিবির ইফতার বাজারে আসি। এখানে পুরান ঢাকার সব ধরনের ইফতার পাওয়া যায়। পরিবেশও খুব ভালো। আজকে বাসার জন্য হালিম ও কয়েক পদের কাবাব আইটেম কিনে নিয়ে যাচ্ছি।

ছোট ছেলে এবং মেয়েকে সঙ্গে করে আইসিসিবির ইফতার বাজারে এসেছেন রুমা আক্তার। গুলশানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্তব্যরত রুমা বাংলানিউজকে বলেন, আমি বসুন্ধরা এলাকায় থাকি। অফিস শেষ করে বাসায় গিয়ে ইফতার বানানোর মতো সুযোগ হয় না। আইসিসিবির ইফতার বাজার আমাদের জন্য অনেক সুবিধাজনক। এখান থেকে খুব সহজেই স্বাস্থ্যকর ইফতার কিনতে পারি।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০২৪
ইএসএস/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।