ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণে দায়িত্বশীল অনুশীলনে ভূমিকা রাখছে ‘সেন্সরেক’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণে দায়িত্বশীল অনুশীলনে ভূমিকা রাখছে ‘সেন্সরেক’ শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা

ঢাকা: শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, বাংলাদেশে টেকসই ও দায়িত্বশীল শিপ রিসাইক্লিং (জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণ) অনুশীলনে সেন্সরেক প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে ৷  

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে দুই দিনব্যাপী (২৪-২৫ এপ্রিল) সচেতনতামূলক কর্মশালার উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।  সেন্সরেক ফেজ-৩ প্রকল্পের আওতায় ওয়ার্কশপ এবং নলেজ ম্যানেজমেন্ট অন হংকং ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয় ও আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএমও)।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. শামীমুল হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিকটার-ভেন্ডসেন ও আইএমওর ডিপার্টমেন্ট অব পার্টনারশিপ অ্যান্ড প্রজেক্টের (ডিপিপি) প্রকল্প সমন্বয়ক জন আলোনসো।  

স্বাগত বক্তব্য দেন সেফ ইনভায়রনমেন্টালি সাউন্ড শিপ রিসাইক্লিং ইন বাংলাদেশ (সেন্সরেক ফেজ -৩) প্রকল্পের জাতীয় প্রকল্প পরিচালক (উপসচিব) সঞ্জয় কুমার ঘোষ।

সিনিয়র সচিব বলেন, জাহাজের নিরাপদ এবং পরিবেশবান্ধব রিসাইক্লিংয়ের জন্য হংকং আন্তর্জাতিক কনভেনশন বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপটে আমরা সেন্সরেক প্রজেক্ট ফেজ-৩ থেকে এ সংক্রান্ত আইনি বিষয় এবং আইনগত সক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ইয়ার্ডগুলোতে ট্রিটমেন্ট স্টোরেজ এবং ডিসপোজাল ফ্যাসিলিটি (টিএসডিএফ) প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত সহযোগিতার আশা করি।

প্রধান অতিথি বলেন, হংকং কনভেনশন জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণের সময় যেন মানবস্বাস্থ্য, নিরাপত্তা বা পরিবেশের জন্য অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি সৃষ্টি না করে সেটি নিশ্চিত করে।  

জাকিয়া সুলতানা বলেন, বাংলাদেশ গত বছরের ১৪ জুন হংকং কনভেনশন অনুসমর্থন করেছে। প্রয়োজনীয় মানদণ্ড পূর্ণ হওয়ার ২৪ মাস পর অর্থাৎ আগামী বছরের ২৬ জুন থেকে এটি কার্যকর হবে৷ 

তিনি বলেন, কিছু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশ হংকং কনভেনশন অনুসমর্থন ও প্রতিপালনের ক্ষেত্রে যে অগ্রগতি করেছে তা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য গর্বের৷

সিনিয়র শিল্প সচিব বলেন, সচেতনতামূলক এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা পারস্পরিক আলোচনা ও সহযোগিতা বিনিময়ের মাধ্যমে দায়িত্বশীল শিপ রিসাইক্লিং অনুশীলনে আমাদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতাকে আরও গভীর ও সমৃদ্ধ করবে।  

তিনি বলেন, সবার সম্মিলিত প্রয়াসের মাধ্যমেই আমরা হংকং কনভেনশন প্রতিপালনের পাশাপাশি টেকসই, দায়িত্বশীল ও পরিবেশবান্ধব শিল্প ভবিষ্যতের পথ প্রশস্ত করতে পারি।

নরওয়ের রাষ্ট্রদূত বলেন, টেকসই ও দায়িত্বশীল শিপ রিসাইক্লিং অনুশীলনে হংকং কনভেনশন ২০০৯ একটি সুদূরপ্রসারী মাইলফলক। এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে পরিবেশবান্ধব শিপ রিসাইক্লিং অনুশীলন এবং শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

তিনি বলেন, সব অংশীজনের ঐক্যবদ্ধ ও সম্মিলিত প্রয়াস এবং সর্বোত্তম অনুশীলনের মাধ্যমেই কেবল আমরা এটি নিশ্চিত করতে পারি।

কর্মশালায় বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসবিআরএ), আইএমও, আইএলও, জাইকা, শিল্প মন্ত্রণালয়, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, বুয়েট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টষ্টরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৪, ২০২৪
জিসিজি/এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।