ঢাকা, বুধবার, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ জুন ২০২৪, ১৮ জিলহজ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

নিম্ন-মধ্যম আয়ের ব্যক্তিদের ওপর আর্থিক চাপ বাড়তে পারে: এফআইসিসিআই

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১২১ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০২৪
নিম্ন-মধ্যম আয়ের ব্যক্তিদের ওপর আর্থিক চাপ বাড়তে পারে: এফআইসিসিআই

ঢাকা: বাজেটে মুদ্রাস্ফীতির জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা সামঞ্জস্যপূর্ণ না করলে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের ব্যক্তিদের ওপর আর্থিক চাপ বাড়তে পারে বলে মনে করে ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই)।

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে বাজেট ঘোষণার পর এক বিবৃতিতে প্রতিক্রিয়া জানায় সংগঠনটি।

প্রস্তাবিত বাজেট মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, সামগ্রিক চাহিদা হ্রাস এবং বাজারের সরবরাহের দিকে নজর দেওয়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে এই বাজেট অর্থনীতি স্থিতিশীল করার জন্য একটি শক্তিশালী ভিত্তি স্থাপন করবে বলে মনে করে এফআইসিসিআই।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই বাজেটের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হলো, এর প্রগতিশীল ব্যবসাবান্ধব দৃষ্টিভঙ্গি, যা ভোক্তাদের জন্য খরচ কমানোর ওপর ফোকাস করে। একটি ভবিষ্যতাপেক্ষ কর ব্যবস্থা প্রবর্তন দীর্ঘদিনের চাহিদা পূরণ করেছে, যা ব্যবসায় সঠিক কর পরিকল্পনা করতে সক্ষম হবে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করপোরেট করহার নগদ লেনদেনের শর্ত পরিপালন সাপেক্ষে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ হতে আড়াই শতাংশ কমিয়ে ২৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে; যাকে আমরা সাধুবাধ জানাই। কর হার হ্রাসের প্রস্তাব বেসরকারি বিনোয়োগ উৎসাহিত করবে আশা করা যায়।

প্রস্তাবিত বাজেটে করদাতাদের সংখ্যা ২ মিলিয়ন থেকে ২.৫ মিলিয়ন বাড়ানোর আশা করা হচ্ছে, যা একটি ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করবে এবং কর ব্যবস্থার পূর্বানুমানযোগ্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবে। সরাসরি কর বৃদ্ধি এবং ইলেকট্রনিক ট্যাক্স ডিডাকশন অ্যাট সোর্স (ই-টিডিএস) সিস্টেম প্রয়োগের মাধ্যমে প্রস্তাবিত বাজেট কর প্রতিপালন এবং কর ফাঁকি হ্রাস করার লক্ষ্য রাখে।

তবে, প্রস্তাবিত বাজেটে কর, ভ্যাট এবং কাস্টমস প্রশাসনের অটোমেশনের জন্য কোনও বরাদ্দ বা নির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়নি। এই ধরনের সংস্কারের অভাবে ভ্যাট ক্রেডিট সম্পর্কিত জটিলতা এবং ব্যবসার উপর সম্ভাব্য আর্থিক চাপ অব্যাহত থাকবে। ভ্যাট প্রক্রিয়াগুলি সরল করতে এবং ব্যবসায়সমূহের উপর প্রশাসনিক বোঝা কমাতে ধারাবাহিক সংস্কার প্রয়োজন।

উচ্চ আয়ের ব্যক্তিদের জন্য সর্বাধিক কর হার ২৫% থেকে ৩০% বৃদ্ধি একটি আরও প্রগতিশীল কর ব্যবস্থা তৈরি করে, যা ন্যায্য কর নিশ্চিত করে। তবে, এটি ডিসপোজেবল আয় হ্রাস করবে, যার ফলে ব্যয় এবং সঞ্চয়ে প্রভাব পড়বে। মুদ্রাস্ফীতির জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা সামঞ্জস্যপূর্ণ না করলে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের ব্যক্তিদের ওপর আর্থিক চাপ বাড়তে পারে।

এফবিসিসিআই’র বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমরা কাস্টমস অ্যাক্ট ২০২৩ প্রবর্তনকে স্বাগত জানাই, কিন্তু ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ) প্রকল্প বাস্তবায়ন না হলে এই আইন সঠিকভাবে কার্যকর করা সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১১১ ঘণ্টা, জুন ০৬, ২০২৪
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।