ঢাকা, রবিবার, ৩ ভাদ্র ১৪৩১, ১৮ আগস্ট ২০২৪, ১২ সফর ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সামষ্টিক অর্থনীতির বেহাল দশার মূলে জ্বালানির অস্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা: সিপিডি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
সামষ্টিক অর্থনীতির বেহাল দশার মূলে জ্বালানির অস্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা: সিপিডি

ঢাকা: সামষ্টিক অর্থনীতির বেহাল দশার প্রধান কারণ হিসেবে জ্বালানির অস্বচ্ছ ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গবেষণা পরিচালক অর্থনীতিবিদ খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

তার ভাষ্য, সামষ্টিক অর্থনীতি এখন যেভাবে চলছে এবং আগামী দিনগুলোতে যে পরিস্থিতি তৈরি হবে, তার জন্য এককভাবে যদি কোনো খাতকে দায়ী করা যায়, সেটি হলো জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাত।

এ খাতে যে অনিয়ম হয়েছে, তা সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ‘‌বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সংস্কার: সিপিডির প্রস্তাবনা’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।  

খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, জ্বালানি উৎপাদন-বিপণনে প্রতিযোগিতা ও স্বচ্ছতার অভাব ছিল এবং যথাযথ জবাবদিহির ঘাটতি ছিল। নতুন সরকারের সময়ে এ জায়গাগুলোতে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া দরকার। আবার যদি সামষ্টিক অর্থনীতিতে আগের জায়গায় ফিরে আসতে চাইলে অনিয়মগুলো থেকে সরে আসতে হবে, এখনই সময়।

তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির জন্য ২০৩০, ৪০ ও ৫০ সালের যে লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, নীতি কাঠামো ঠিক করা হয়েছে, তা প্রয়োজনের ধারেকাছেও নেই। বেসরকারি কোম্পানিগুলোর নতুন নতুন কোম্পানি করতে সরকারকে চাপ দিকে হবে। এর মাধ্যমে সরকারের কাছে থেকে সুবিধা নিতে পারবে।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানির যে সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান রয়েছে, তা পরিবর্তন করে যুগোপযোগী করার পক্ষে মত দেন এ অর্থনীতিবিদ। তিনি বলেন, ক্লিন এনার্জির নাম করে আবার যেন কয়লাভিত্তিক জ্বালানিকে বৈধ করার চেষ্টা জায়েজ না করা হয়; আবার যেন দেশের কয়লা উত্তোলনে নতুন করে পথ তৈরি করে দেওয়া না হয় ।
 
তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে বেশি দামে জ্বালানি কেনা হচ্ছে, কারো কাছ থেকে কম দামে কেনা হচ্ছে। আগামীতে কাউকে বঞ্চিত না করতে কিংবা রাষ্ট্রের সম্পদ কাউকে না দিতে স্বচ্ছ নীতি করার প্রয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২৪
জেডএ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।