ঢাকা, শনিবার, ২৪ মাঘ ১৪৩১, ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৮ শাবান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৫
রিজার্ভ আবারও ২০ বিলিয়ন ডলারে

ঢাকা: আবারও ২০ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করল রিজার্ভ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার সর্বশেষ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ২০ কোটি ১৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার।

একই সময়ে বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৫৫৪ কোটি ৪৩ লাখ ২০ হাজার ডলার।

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) উইকলি সিলেক্টেড ইকোনমিক ইন্ডিকেটরে এ তথ্য প্রকাশ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।  

তথ্য অনুযায়ী, গত ৯ জানুয়ারি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসের আমদানি বিল বাবদ ১৬৭ কোটি ডলার পরিশোধ কারার পর রিজার্ভ কমে ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়। পরে ২২ জানুয়ারি ফের কমে রিজার্ভ; ওই সময় গ্রস রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ২২১ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম-৬ অনুযায়ী ২০ বিলিয়ন ডলারের নিচে অর্থাৎ ১৯ দশমিক ৯৪ বিলিয়ন ডলারে নেমে যায়।

চলতি বছরের শুরুতে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ ছিল ২৬ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার। আর বিপিএম-৬ ছিল ২১ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার।

মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বিয়োগ করলে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে না  বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভও ১৫ বিলিয়ন ডলারের ওপরে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি সূত্র। প্রতি মাসে প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি ব্যয় মেটাতে হয়। সে হিসাবে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দিয়ে প্রায় তিন মাসের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব।  

বাংলাদেশ সময়: ০০০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
জেডএ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।