ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি, ক্ষুরের ওপর দিয়ে হাঁটছি : অর্থ উপদেষ্টা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৫
আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি, ক্ষুরের ওপর দিয়ে হাঁটছি : অর্থ উপদেষ্টা বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ

ঢাকা: আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি উল্লেখ করে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমরা ক্ষুরের ওপর দিয়ে হাঁটছি। চেষ্টা করছি, বলবো না যে, আমরা খুব ভালো করছি।

অন্যান্য দেশের তুলনায় আমরা খারাপ নেই। আমরা মোটামুটি ভালো আছি। অবশ্যই আমরা একটা কল্যাণমুখী, সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র করার চেষ্টা করছি। তবে সেটা অনেক দূরে, সেটা পলিটিক্যাল সরকার করবে।

রোববার (০৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভাপতিত্ব করেন বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দিন মাহতাব। সঞ্চালনা করেন বিএআরএফ-এর সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক।

সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের প্রবাসীরা ব্যবসা করতে চায় না। তবে ব্যবসা করা কঠিন। সবকিছু তো আমরা করে দেব না। সরকারের আয় ব্যয়ে ব্যালেন্স করতে হয়। সেটা সব সময় যুক্তি সঙ্গত হবে, তা কিন্তু না। ট্যাক্সের ক্ষেত্রে আপনি দেবেন, লাভবান আপনি হবেন। আমরা চাই একেবারেই সাধারণ মানুষ যাতে লাভবান হয়। এখন শিক্ষকদের অনেক ডিমান্ড আছে, সেটা আমরা বিচার বিশ্লেষণ করে দেখব।

তিনি বলেন, প্রতিদিন যে তারা রাস্তাঘাট আটকে রাখে, এটা সত্য যে আমরা অন্তর্বতী সরকার, রাজনৈতিক সরকারের মতো শক্তিশালী না। এখন যদি মূল্যস্ফীতি বেড়ে যায়। তখন দোকানদাররা দোষ দেওয়া শুরু করে। এটা সত্য, আমরা অনেক চাপের মধ্যে আছি। ১০০টা চাপের মধ্যে আমরা ১০টা মানি। যেমন রেলওয়ের ডিমান্ড—ওভারটাইম দাও, দিলাম। এরপর বলে লিমিট উঠিয়ে দাও, সেটাও উঠিয়ে দিলাম। কয়েক দিন পর বলবে, চাকরি থাকবে না বেতন দাও? তখন আমি কী করব? সেটা নিয়ে চিন্তায় আছি।

অর্থ উপদেষ্টা বলেন, জনগণের এখতিয়ার মানে রাজনৈতিক সার্পোট, আমরা কিন্তু ক্ষমতায় আসিনি, আমাদের দেওয়া হয়েছে। আমরা যেটা করছি, কিছু কিছু কারণ আছে, সবকিছু ভেবে চিন্তে করছি। এখানে সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘভাতা আছে, এখানে রাজনৈতিক ব্যাপার আছে। তাহলে কীভাবে আমরা রাজস্ব ব্যয় কমাব। এক্ষেত্রে আমি পজেটিভ।  

তিনি বলেন, পেনশনটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সর্বজনীন পেনশন দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন বিষয়টা হচ্ছে রিসোর্স ও অ্যাওয়ারনেস। আমরা চেষ্টা করছি আরও একটু যুগোপযোগী করার। আর যারা রেমিট্যান্স পাঠায় তাদের জন্য প্রবাসীকল্যাণ উপদেষ্টা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। প্রবাসীরা ফিরে আসার পর যেন পেনশনের মতো প্রবাসী বন্ডের ব্যবস্থা করা যায় কি না।  

উপদেষ্টা বলেন, এখন ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসছে, সেখানে কিছু প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এখনও কেউ কেউ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠায়। আমরা ফরেন ট্রেড ওপেন করে দেব। সেখানে সমস্যা হলো দুবাই বসে হুন্ডির মাধ্যমে সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আমরা তাদেরটা ঠিক রেখে পুরো মার্কেট সেটেলমেন্ট করব।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৮, ২০২৫
জিসিজি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।