ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ডিএসইতে ডিসেম্বরে চালু হচ্ছে ইন্টারনেট ট্রেড

এসএম গোলাম সামদানী | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮০৮ ঘণ্টা, জুন ৬, ২০১০

ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) বহুল প্রত্যাশিত ইন্টারনেট ট্রেড ডিসেম্বরের মধ্যে চালু করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে গত সপ্তাহে ডিএসই’র সঙ্গে কেপব্রিজের চুক্তিও হয়।

চুক্তি অনুযায়ী আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ইন্টানেট ট্রেড চালু হওয়ার কথা রয়েছে। ইন্টারনেট ট্রেড চালু হলে দেশ-বিদেশের বিনিয়োগবারীরা বিভিন্ন স্থান থেকে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। বিনিয়োগকারীদের তখন স্টক এক্সচেঞ্জ বা ব্রোকারেজ হাউজে থাকতে হবে না। ঘরে বসেও লেনদেন করতে পারবেন। প্রবাসীরাও করতে পারবেন সরাসরি লেনদেন। এতে পুঁজিবাজার আরও সম্প্রসারিত হবে।

এরই মধ্যে ইন্টারনেট ট্রেড চালু করার জন্য ভারতের মাদ্রাজভিত্তিক সফটওয়্যার কোম্পানি কেপব্রিজ সলিউশন কোম্পানির সহায়তায় ডিএসই’র সফটওয়্যার আফগ্রেড (উন্নয়ন) করা হচ্ছে। ডিএসই‘র বর্তমান ও সাবেক সভাপতি এবং ডিএসই‘র আইটি বিভাগের প্রধান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
 
এ ব্যাপারে ডিএসইর সভাপতি মো. শাকিল রিজভী বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ইন্টারনেট ট্রেডিং-এর জন্য সবার আগে প্রয়োজন অনলাইন ব্যাংকিং সিস্টেম। বেশির ভাগ ব্যাংকে অনলাইনে লেনদেন এখনও চালু হয়নি। তবে এখন কয়েকটি ব্যাংক অনলাইন সিস্টেম চালু করেছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরও কিছু ব্যাংক অনলাইন লেনদেন চালু করবে। এতে করে ডিএসই ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু করতে আর কোনো সমস্যা হবে না। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই ডিএসইতে ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু করা সম্ভব হবে।
 
তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট চালু হলে বাজার দ্রুত সম্প্রসারিত হবে। এজন্য পুঁজিবাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।
 
চট্রগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ইন্টারনেট ট্রেডিং বলতে যা বোঝায় সিএসই তা করতে পারেনি। কারণ বিও অ্যাকাউন্টধারীর অ্যকাউন্টে টাকা থাকলেই কেবল বিনিয়োগকারী ওই পরিমাণ টাকার শেয়ার ইন্টারনেটে লেনদেন করতে পারবেন। অনলাইন ব্যাংকিং ব্যবস্থা না থাকায় ওই বিনিয়োগকারী ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিদেশ কিংবা অন্য কোনো স্থান থেকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার অ্যাকাউন্টে ইন্টারনেটে টাকা পাঠাতে পারছে না। এতে করে ইন্টারনেট ট্রেড বাধাগ্রস্থ হবে।
 
ডিএসইর সাবেক সভাপতি মো. রকিবুর রহমান বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম.বিডিকে বলেন, ইন্টারনেট ট্রেড চালু হলে পুঁজিবাজারে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে যাবে। দেশ-বিদেশের অনেক নতুন বিনিয়োগকারী বাজারে প্রবেশ করবেন। এ জন্য সবার আগে প্রয়োজন শেয়ারের সবররাহ বাড়ানো।

তিনি আরো বলেন, ইন্টারনেট ট্রেড চালু করার জন্য ভারতীয় সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান কেপব্রিজ এর সঙ্গে এরই মধ্যে ডিএসই’র চুক্তি হয়েছে। আগামী বিজয় দিবসের আগেই ডিএসইতে ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু করা হবে। এই পদ্ধতি চালু হলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ পদ্ধতি আরো সহজ হবে।

ডিএসইর আইটি বিভাগের প্রধান এম খায়রুজ্জামান জানান, ১৯৯৮ সাল থেকে ডিএসই’তে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিকে অনলাইন ট্রেডিং চালু করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় বিনিয়োগকারীদের সুবিধার জন্য আগামী ১৫ ডিসেম্বর থেকে ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু হবে। এ বাপারে ডিএসইর আইটি বিভাগ সম্পন্ন প্রস্তুত।

উল্লেখ্য, গত বছরের তিন নভেম্বর ডিএসই’র তৎকালীন সভাপতি মো. রকিবুর রহমান এক সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করেছিলেন ছয় মাসের মধ্যে ডিএসই’তে ইন্টারনেট ট্রেডিং চালু করা হবে। এরই মধ্যে সাত মাস অতিবাহিত হলেও তা চালু করা যায়নি।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১২০৯ ঘণ্টা, জুন ০৫, ২০১০
জিএস/বিকে/ জেএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।