ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ বৈশাখ ১৪৩২, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
রিজার্ভ বেড়ে ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই প্রতীকী ছবি

ঢাকা: বাড়ছে প্রবাসী আয়। এর সঙ্গে বাড়ছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

বৈদেশিক মুদ্রায় গঠিত বিভিন্ন তহবিলসহ রিজার্ভ বেড়ে এখন ২৭ বিলিয়ন ডলার ছুঁই ছুঁই। একই সময়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) হিসাবায়ন পদ্ধতি অনুসারে রিজার্ভের পরিমাণ ২১ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম৬)।

রোববার (২০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদন সাপ্তাহিক নির্বাচিত সূচকে এমন চিত্র তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

এর আগে গত ৯ মার্চ আকুর বিল পরিশোধের পর দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মোট রিজার্ভ ২৫ বিলিয়ন ডলার নেমে আসে। নিট রিজার্ভ ১৯ দশমিক ৭০ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর রমজান মাসে উচ্চ প্রবাসী আয় প্রবাহের ও রপ্তানি আয় বৃদ্ধির কারণে রিজার্ভ বেড়ে মোট ২৬ দশমিক ৭৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।

এই মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি বা রিজার্ভের অর্থ দিয়ে গঠিত বিভিন্ন তহবিলের অর্থ বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। এর বাইরের রিজার্ভের আরও একটি হিসাব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এটা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এই ব্যয়যোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করে না বাংলাদেশ ব্যাংক। আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার এবং পাইপলাইনে থাকা আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৬ বিলিয়ন ডলারের কাছাকাছি। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম তিন মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সে হিসাবে বর্তমান রিজার্ভ প্রয়োজনের বেশিই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
জেডএ/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।