ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান বলেছেন, আয়কর রিটার্নের ফাইল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্ট কর অঞ্চলগুলো। এসব ফাইল প্রচলিত এনালগ পদ্ধতিতে পরিদর্শন করা হয়।
রোববার (৪ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ফরেন ইনভেস্টার চেম্বার অ্যান্ড কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফআইসিসিআই) আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন এফআইসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আগামী বাজেট বাস্তবসম্মত এবং সক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে প্রণয়নের কাজ চলছে। অতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা ও অনুমান নির্ভরতা এড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সংস্কারমুখী, ব্যবসা-বান্ধব এবং কর ফাঁকিবাজদের বিরুদ্ধে জোরদার ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ থাকবে।
তিনি বলেন, আগামী বাজেটে গুরুত্বপূর্ণ নীতিগত পরিবর্তন আনা হচ্ছে। স্বচ্ছতা বাড়ানো হচ্ছে এবং ব্যবসা শুরু সহজতর করার উদ্যোগ থাকবে। ব্যবসার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিচয়ে সুবিধা বন্ধ ও অযাচিত প্রভাব কমানোর ঘোষণা থাকবে। সরকার ইচ্ছা করলেই কাউকে কর থেকে অব্যাহতি দিতে পারবে না। এটা ছেড়ে দেওয়া হবে সংসদের ওপর। সংসদে কর অব্যাহতি কর্তৃপক্ষ থাকবে। ওই কর্তৃপক্ষ অর্থনৈতিক স্থায়িত্বের সঙ্গে আর্থিক অগ্রাধিকারগুলো বিশ্লেষণ করে সামঞ্জস্য বিধান করবে।
এনবিআর চেয়ারম্যান ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটকে দায়িত্বশীল আর্থিক ব্যবস্থাপনা উল্লেখ করে সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরে বলেন, ঘাটতি বাজেট করে অতিরিক্ত ঋণ গ্রহণ করা হবে না, যা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে বোঝার কারণ হতে পারে।
দেশের জন্য মুদ্রাস্ফীতি একটি প্রধান উদ্বেগের বিষয় উল্রেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি অন্যান্য অনেক দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত। বৈশ্বিক অবস্থার সঙ্গে মূল্যস্ফীতি উঠানামা করছে, যা মুদ্রাস্ফীতির হার প্রায় ৯-১০ শতাংশের মধ্যে উঠানামা করছে। মুদ্রাস্ফীতি কার্যকরভাবে মোকাবিলা করার জন্য রাজস্ব এবং আর্থিক নীতির মধ্যে আরও ভালো সমন্বয় নিশ্চিত করা অপরিহার্য পড়েছে। অনিয়ন্ত্রিত রাজস্ব ঘাটতি এবং অতিরিক্ত সরকারি ঋণ মুদ্রাস্ফীতির চাপকে তীব্রতর করতে করছে। যা শেষ পর্যন্ত সামগ্রিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এফআইসিসিআই সভাপতি জাভেদ আখতার বাজেটে রাজস্ব ব্যবস্থার স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাজস্ব আদায় বাড়ানোর জন্য একটি সমন্বিত কর ব্যবস্থার ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, রাজস্ব বাড়ানোর জন্য রাজস্ব নীতি প্রণয়ন এবং রাজস্ব প্রশাসনের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে।
আসন্ন বাজেটে ব্যবসার সহজীকরণের ওপর জোর দেওয়ার উদ্যোগকে স্বাগত জানান জেবিসিসিআই সভাপতি তারেক রাফি ভূঁইয়া। তিনি বিনিয়োগ আকর্ষণ এবং বাংলাদেশ-জাপান অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার সম্ভাবনা তুলে ধরেছেন।
সেমিনারে পলিসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ এবং চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস স্নেহাসিশ মাহমুদ অ্যান্ড কোম্পানির অংশীদার স্নেহাসিশ বড়ুয়া ভিন্ন দুটি মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন।
জেডেএ/জেএইচ