ঢাকা, সোমবার, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৬ মে ২০২৫, ২৮ জিলকদ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না, বিনিয়োগকারী খুঁজছি: প্রেস সচিব  

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫:১৮, মে ২৫, ২০২৫
চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না, বিনিয়োগকারী খুঁজছি: প্রেস সচিব   রোববার রাজধানীর পল্টনে সিএমজেএফ আয়োজিত সংলাপে কথা বলেন শফিকুল আলম

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়াতে আমরা সংস্কার করতে চাচ্ছি। এজন্য বিদেশি প্রতিষ্ঠান খোঁজা হচ্ছে, যারা বন্দরে সক্ষমতা বাড়াবে।

বন্দর কাউকে দিচ্ছি না। ’

রোববার (২৫ মে) দুপুরে রাজধানীর ক্যাপিটাল মার্কেট সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত ‘সিএমজেএফ টক উইথ শফিকুল আলম’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

শফিকুল আলম বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে বড় বড় কোম্পানিগুলো চট্টগ্রাম বন্দরকে যেন ম্যানেজ করতে পারে, আমরা তা চাচ্ছি। আমরা চট্টগ্রাম বন্দর কাউকে দিচ্ছি না। আমরা চাই টার্মিনালে যেন তারা বিনিয়োগ করেন, ম্যানেজ করেন। ইতোমধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছ থেকে আশ্বাস পেয়েছি, তারা তিন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে।

তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের প্রধান শর্ত তারা বন্দরের সক্ষমতা বাড়াবে। তারা দেখবে উৎপাদন করার দ্রুত রপ্তানি-আমদানি করা যায় কিনা। বৈশ্বিক যে ট্রেড লড়াই শুরু হয়েছে, বড় দেশগুলো সেই সব বিনিয়োগকারীরা নতুন দেশ খুঁজছে। বাংলাদেশ সেই দেশ যা বিনিয়োগে জন্য সহায়ক। এজন্য বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে।   

প্রেস সচিব আরও বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা লেভেল যদি দ্রুত আমরা এগিয়ে নিতে পারি, সেটার একটা মাল্টিপেয়ার ইফেক্ট হবে পুরো বাংলাদেশের ইকোনমিতে। পুরো বিশ্বে এখন ট্রেডের যে একটা প্রোটেকশনইজম চলছে, সেই জায়গা থেকে আমরা একটা বেনিফিটের জায়গায় আছি। দ্রুত এটা থেকে বেনিফিট পেতে পারি।

শফিকুল আলম বলেন, শেখ হাসিনার সময় ১০০টা ইকোনমিক জোন করা হয়েছিল। সে জোনগুলো পড়ে আছে, সেখানে মহিষের বাথান হয়ে গেছে। কেউ আসছে না তো। ইনভেস্টররা না আসার মূল কারণ হচ্ছে, আমাদের বন্দরের সক্ষমতা নেই। আমাদের এখান থেকে দ্রুত একটা জিনিস বানিয়ে নেওয়ার মতো সক্ষমতা নেই।

এ সময় শেয়ারবাজারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন তিনি।  

শেয়ারবাজার ‘ডাকাতের আড্ডায়’ পরিণত হয়েছে উল্লেখ করে শফিকুল আলম বলেন, আগের সরকারের সময়ে এক পক্ষের স্বার্থের অনুকূলে এক ধরনের সংস্কার হয়েছে। এসব স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের স্বার্থের অনুকূলে সংস্কার করেছে। এরপর আরেক পক্ষ নিজেদের মত করে সংস্কার করেছে, লুটপাট করেছে। এতে শেয়ারবাজারের কোনো কাজ হয়নি। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার শেয়ারবাজারের স্বার্থে কাজ করছে। এর রেজাল্ট পেতে একটু সময় লাগছে। তবে শেয়ারবাজার দীর্ঘমেয়াদে সুবিধা পাবে।   

ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি গোলাম সামদানীর সভাপতিত্বে সিএমজেএফ টক অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক আবু আলী।  

জেডএ/এসএএইচ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।