ঢাকা, বুধবার, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৪ জুন ২০২৫, ০৭ জিলহজ ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্য সরকারের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:১৯, জুন ২, ২০২৫
মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে আটকে রাখার লক্ষ্য সরকারের

ঢাকা: প্রস্তাবিত ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে আটকে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২ জুন) বিকেল ৩টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে অর্থ উপদেষ্টা বাজেট বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

লিখিত বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে গত দুই বছরে প্রকৃত আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। রাশিয়া- ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর অন্যান্য দেশের ন্যায় ২০২২-২৪ অর্থবছর থেকে মূল্যস্ফীতির হার দ্রুত বাড়তে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে উঠে, যা সাম্প্রতিক সময়ে অন্যতম সর্বোচ্চ। তবে দেশে এখনো উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, যা ৯ থেকে ১০ শতাংশে রয়েছে। তবে নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতির লাগাম ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে টেনে ধরা হবে।

তিনি বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের সরকার যখন দেশ পরিচালনার দায়িত্বভার নেয় তখন বড় চ্যালেঞ্জ ছিল নিয়ন্ত্রণহীন মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরে মানুষকে স্বস্তি দেওয়া। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে বিগত মাসগুলোতে আমরা ধারাবাহিকভাবে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অবলম্বন করেছি।

এর ফলে নীতি সুদের হার ১৫০ বেসিস পয়েন্ট বেড়ে এখন ১০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। মুদ্রানীতির আওতায় গৃহীত কার্যক্রমকে সহায়তা করতে সংকোচনমূলক রাজস্বনীতি অনুসরণ করা হয়েছে। অপ্রয়োজনীয় ব্যয় কমিয়ে আনায় সার্বিকভাবে সরকারি ব্যয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। এর ইতিবাচক প্রভাব এরই মধ্যে দৃশ্যমান হয়ে উঠতে শুরু করেছে।

পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ থেকে কমে ২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে ৯ দশমিক ১৭ শতাংশে নেমে এসেছে। আশার কথা হলো এবারের রমজান মাসে নিত্যপণ্যের বাজার স্মরণকালের মধ্যে সব চাইতে স্থিতিশীল ছিল। এ ধারা অব্যাহত থাকলে এ জুন মাসেই পয়েন্ট টু পয়েন্ট মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশের কোঠায় নেমে আসবে। মূল্যস্ফীতির সঙ্গে লড়াইয়ের ফলে আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার অন্যান্য বছরের তুলনায় কিছুটা কম হতে পারে।

জিসিজি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।