ঢাকা: জ্বালানি ও খনিজ সম্পদে বিভাগে ২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে দ্বিগুণ টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে এবং বিদ্যুতে বিভাগে কমেছে বরাদ্দের প্রস্তাব।
সোমবার (২ মে) বিকেল ৩টায় ২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট থেকে এ কথা জানা যায়।
প্রস্তাবিত বাজেটে জ্বালানি খাতে উন্নয়নে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই হাজার ৮৬ কোটি টাকা এবং পরিচালন ব্যয় রাখা হয়েছে ৯২ কোটি টাকা। পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলে মোট বরাদ্দ দুই হাজার ১৭৮ কোটি টাকা।
জ্বালানি খাতে ২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেট ছিল এক হজার ৮৭ কোটি টাকা এবং একই অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট ছিল এক হাজার ৫৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে তুলনায় জ্বলানি খাতে দিগুণ বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটে বিদ্যুৎ খাতে উন্নয়ন বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২০ হাজার ২৮৪ কোটি টাকা। বিদ্যুতে পরিচলন ব্যয় রাখা হয়েছে ৫৮ কোটি টাকা। পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলে মোট বরাদ্দ ২০ হাজার ৩৪২ কোটি টাকা।
বিদ্যুৎ খাতে ২৪-২৫ অর্থবছরে প্রস্তাবিত বাজেট ছিল ২৯ হজার ২৩০ কোটি টাকা এবং একই অর্থবছরে সংশোধিত বাজেট ছিল ২১ হাজার ৬৫১ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি অর্থবছরে তুলনায় বিদ্যুৎ খাতে কম টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের মোট বাজেটে ২২ হাজার ৫২০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। ২৪-২৫ বছরের সংশোধিত বাজেটে বিদ্যুৎও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ ছিল ২২ হাজার ৭০৫ কোটি টাকা। পাশাপাশি চলতি অর্থ বছর বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৩০ হাজার ৩১৭ কোটি টাকা।
বাজেট বক্তৃতায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের ব্যয় ১০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। এজন্য বিদ্যুৎ খাতে প্রদত্ত ভর্তুকির পরিমাণ ক্রমান্বয়ে হ্রাস করার লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিল করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় ইতিপূর্বে সম্পাদিত চুক্তি পর্যালোচনার জন্য একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। রূপপুরে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে।
আরকেআর/জেএইচ
