ঢাকা: রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট উপস্থাপন বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, বিদ্যুৎ খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, ২০১০’ বাতিল করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় ইতিপূর্বে সম্পাদিত চুক্তিসমূহ পর্যালোচনার নিমিত্ত একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার আওতায় নেপালের সঙ্গে গত বছরের ৩ অক্টোবর একটি চুক্তি স্বাক্ষরিক হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় গ্রীষ্মকালীন বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণে সাশ্রয়ী মূল্যে ৪০ মেগাওয়াট জলবিদ্যুৎ করা হবে। রূপপুরে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। আশা করছি এ বছরের (২০২৫ সাল) ডিসেম্বর মাসে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা, ২০০৮ যুগোপযোগী করে নতুন একটি নীতিমালা প্রণয়নের কার্যক্রম চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। আগামী ২০৪০ সালের মধ্যে দেশের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের শতকরা ৩০ ভাগ নবায়নযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এছাড়া, ইন্টেগ্রেটেড পাওয়ার সেক্টর মাস্টার প্ল্যান তৈরি করা হয়েছে এবং এর আওতায় আগামী ২০২৮ সালের মধ্যে ৩ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পরিচ্ছন্ন উৎস থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থ উপদেষ্টা বাংলাদেশ টেলিভিশনের স্টুডিও থেকে সাত লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। বাজেটে মোট ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা বা জিডিপির ৯ শতাংশ রাজস্ব আয়ের প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের মাধ্যমে ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি টাকা এবং অন্যান্য উৎস হতে ৬৫ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এসকে/এইচএ/