ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান পদত্যাগ না করলে ২৮ জুন থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছেন রাজস্ব সংস্কার ঐক্য পরিষদের নেতারা।
নেতারা এর আগে ধাপে ধাপে চেয়ারম্যান ও তার সহকারীদের অসহযোগিতা ও ঘৃণা প্রকাশসহ তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর কার্যালয়ের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদার ও মহাসচিব সেহেলা সিদ্দিকা।
দাবিগুলো হলো, চেয়ারম্যানকে অপসারণ, এরই মধ্যে জারিকৃত ‘প্রতিহিংসা ও নিপীড়নমূলক‘ সব বদলি আদেশ সোমবার ( ২৩ জুন) মধ্যে প্রত্যাহার ও নিপীড়নমূলক নতুন কোনো বদলি আদেশ জারি বন্ধ করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিলুপ্ত না করে বরং বিভাগের মর্যাদায় শক্তিশালী করাসহ রাজস্ব অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর লক্ষ্যে রাজস্ব অধ্যাদেশ সংস্কার বিষয়ক কমিটি বাতিল করে আন্দোলনরত সংস্কার ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিত্ব অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
কর্মসূচি ঘোষণা করে নেতারা বলেন, আজকের মধ্যে দাবি না মানলে মঙ্গলবার ( ২৪ জুন) আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকাস্থ কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রাজস্ব ভবনে অবস্থান কর্মসূচি ও কলম বিরতি এবং ঢাকার বাইরে স্ব-স্ব দপ্তরে অবস্থান কর্মসূচি, কলম বিরতি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হবে।
আগামী বুধ ও বৃহস্পতিবার ( ২৫ ও ২৬ জুন) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাত্রীসেবা ও রপ্তানি ব্যতীত কর, কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের সব দপ্তরে কলম বিরতি, অবস্থান কর্মসূচি এবং চেয়ারম্যান ও তার দোসরদের প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করা হবে।
নেতারা এনবিআরের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খানকে পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সহায়তাকারী ৪৪ সচিবের তালিকার ৩ নম্বর সচিব উল্লেখ করে বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান হলেন এনবিআরকে অংশগ্রহণমূলক সংস্কার কার্যক্রমে পদে পদে বাধাদানকারী। বর্তমান চেয়ারম্যান আন্দোলনরত এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের মতামত না নেওয়া; আন্দোলনরতদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক বক্তব্য দেওয়া; পত্র-পত্রিকা ও সামাজিক মাধ্যমে সংস্কার কর্মসূচির সমালোচনাকারী ও তুলনামূলক জুনিয়ারকে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা; নিপীড়নমূলক বদলি; বাইরে থেকে লোক এনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি এবং এনবিআরকে বিলুপ্তি করবেন বলে বিভিন্ন মাধ্যমে বক্তব্য দিচ্ছেন। এর ফলে এনবিআর সংস্কারে তার প্রতি আস্থা রাখা যায় না।
জেডএ/জেএইচ