ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১০ আশ্বিন ১৪৩২, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৭

অর্থনীতি-ব্যবসা

অত্যাধুনিক শপিংমল হচ্ছে বসুন্ধরায়

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫৯, সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৫
অত্যাধুনিক শপিংমল হচ্ছে বসুন্ধরায়

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সব ধরনের কেনাকাটা হাতের নাগালেই রয়েছে। সুপারশপ, শপিংমল, উন্নতমানের রেস্টুরেন্ট, ক্যাফেসহ কেনাকাটার প্রয়োজনীয় পণ্য পাওয়া যাচ্ছে পাশেই।

এর সঙ্গে আরও বিভিন্ন ব্লকে যুক্ত হচ্ছে আধুনিক আরও নতুন তিনটি মল। ফলে সহজেই মিলবে গুণে-মানে সেরা নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে গৃহস্থালির জিনিসপত্র। এ ছাড়া বসুন্ধরার গেটগুলোর সংলগ্ন স্থানেও রয়েছে নানা ফ্যাশন হাউস।

বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার সবচেয়ে বড় সুখবর হচ্ছে প্রকল্পের প্রাণকেন্দ্র এন ব্লকে প্রায় ১০ বিঘা জমির ওপর নির্মীয়মাণ অত্যাধুনিক সুপার শপিং মল ‘বসুন্ধরা বাজার প্রতিদিন’।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, চার লাখ বর্গফুটের বেইসমেন্টসহ সাততলার মলটিতে ক্রেতাদের কেনাকাটার সুবিধার জন্য বেসমেন্টে থাকবে কাঁচাবাজার। প্রথম তলায় থাকবে সুপারশপ, গৃহস্থালির সামগ্রীর দোকান, মুদি দোকান, নিত্যপণ্যের দোকান, ফার্মেসি, প্রসাধনীসামগ্রীর দোকান, সেলুন ও বিউটি পার্লার, লন্ড্রি, বেকারি-মিষ্টির দোকানসহ আরও অনেক কিছু।

দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় থাকবে রেডিমেড গার্মেন্ট, দর্জির দোকান, লাইফস্টাইল শপ, সিগনেচার শপ এবং পৃথক সুপারশপ। চতুর্থ তলায় থাকবে জুয়েলারি দোকান, লেদার পণ্য ও জুতার দোকান, অ্যাকসেসরিজ ও ঘড়ির দোকান।

পঞ্চম তলায় থাকবে টিভি, কম্পিউটার, ফ্রিজ, এসি ও মোবাইল ফোনসহ ইলেকট্রনিক পণ্যের দোকান। ষষ্ঠ তলায় থাকবে ইনডোর ফুড কোর্ট, শিশুদের জন্য খেলার জোন ও ডে কেয়ার সেন্টার।

এখানে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের রেখে স্বাছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারবেন। ভবনের সপ্তম তলায় অর্থাৎ টপ ফ্লোরে থাকবে ওপেন ট্যারেস ফুড কোর্ট এবং পর্যবেক্ষণ টাওয়ার। এ ছাড়া প্রতিটি ফ্লোরে থাকবে চা, কফি, আইসক্রিম ও জুসের দোকান। থাকবে ছবি তোলার জন্য ফটো বুথ।

‘বসুন্ধরা বাজার প্রতিদিন’ শপিংমলে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশে প্রথমবারের মতো স্বয়ংক্রিয় মেশিনে মাছ-মাংস প্রসেসিং এবং শাক-সবজি পরিষ্কার করার ব্যবস্থা থাকবে।

শপিং মলটিতে স্বয়ংক্রিয় বহুতল গাড়ি পার্কিং এবং সার্বক্ষণিক নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকবে। মলটির প্রথম তলা এবং মলের বাইরে যেকোনো পণ্যের বিপণন উদ্বোধনের জন্য উন্মুক্ত স্থানের ব্যবস্থা রাখা হবে।

বর্তমানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় কেনাকাটার জন্য বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সুপারশপ রয়েছে। এতে রয়েছে স্বপ্ন সুপাশপের বিশাল আউটলেট, যেখানে স্বচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করা যায় এবং মীনা বাজার, যা এই এলাকায় কেনাকাটার জন্য একটি পরিচিত স্থান। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় গড়ে উঠেছে রিটেইল চেইন সুপারশপ ‘আপন ফ্যামিলি মার্ট’, যেখানে এক ছাদের নিচেই পাওয়া যাচ্ছে সব পণ্য।

এখানকার কর্মীরা এবং গ্রাহকদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা জানান, ঢাকার মতো ব্যস্ত শহরে বাসিন্দাদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে একেকবার একেক জায়গায় যেতে হয়। সেই কষ্ট লাঘব করছে আপন ফ্যামিলি মার্ট।

এখানে নিত্যপণ্য সবজি, মাছ, মাংস, সব ধরনের চাল, ডাল, আদা, রসুন, পেঁয়াজ মিলছে। এ ছাড়া নানা রকম রুটি, বিস্কুট, জুস, আচার, দেশি-বিদেশি ফল, প্রসাধনসামগ্রী, মুদি দোকানের উপকরণ, ক্রোকারিজ, ইলেকট্রনিক ও স্টেশনারি পণ্য, শিশুদের খেলনাসহ অনেক কিছু পাওয়া যায় এখানে।

বসুন্ধরা ডি ব্লকের বাসিন্দা হাবিব রহমান বলেন, ‘আপন ফ্যামিলি মার্টের মতো শপ সাধারণত বিদেশে গেলে দেখা যায়। এর মাধ্যমে আমাদের সহজে বাজার বা বাসার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে পারছি। ধন্যবাদ বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য। গত ফেব্রুয়ারি মাসে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকে ‘আপন ফ্যামিলি মার্ট’ আউটলেট উদ্বোধন করা হয়। প্রথম দিন থেকেই এখানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা গেছে। ’

আপন ফ্যামিলি মার্টের আউটলেট অপারেশন ম্যানেজার নাইমুল ইসলাম শাওন বলেন, ‘শুক্রবার ও শনিবার স্পেশাল অফার থাকে। এ ছাড়া আমরা ক্রেতাদের সর্বোচ্চ ভালো মানের পণ্য দিতে চেষ্টা করছি। ’

এ ছাড়া বসুন্ধরার প্রধান সড়কেই রয়েছে বেশ কিছু শপিং স্পট। জামাকাপড়, জুতা, ব্যাগ থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় যেকোনো পণ্য, সবই পাওয়া যায় এখানে। ছোট ছোট ইলেকট্রিক গ্যাজেট কিংবা ইলেকট্রিক সামগ্রীও কেনা যায় আশপাশের দোকানগুলো থেকে। বসুন্ধরার সড়কের প্রধান গেটসংলগ্ন রয়েছে যমুনা ফিউচার পার্ক।

অন্যদিকে বসুন্ধরা আবাসিকে ক্যাফে-রেস্টুরেন্টও রয়েছে গুণগত মানের। এর মধ্যে অন্যতম—কজমো, অ্যাওয়াক কফি রোস্টারস, নর্থ অ্যান্ড কফি রোস্টারস, অ্যারাবিকা, উডেন স্পুন ইত্যাদি। এ ছাড়া রয়েছে কেবি সুপারশপ, ঢালি ফুড কোর্ট, তাবাক কফি, এস্টেটিকো ক্যাফে ইত্যাদি ক্যাফে ও রেস্টুরেন্ট।

এনডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।