ঢাকা: প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার্য জিনিস শুল্কমুক্ত আমদানির সুবিধা পেতে যাচ্ছে। আসন্ন বাজেটে এ সুযোগের কথা উল্লেখ না থাকলেও খুব শিগগির এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, “এটা আমি করবো (আই উইল ডু ইট)। খুব অল্প সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করে প্রতিবন্ধীদের ব্যবহার্য জিনিসকে শুল্কমুক্ত সুবিধা দেওয়া হবে। ”
বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে প্রতিবন্ধী বিষয়ক সংসদীয় কমিটির আহ্বায়ক ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর নেতৃত্বে ২০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দেখা করে বাজেটে প্রতিবন্ধীদের নানা সুযোগ সুবিধা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তুলে ধরেন। জবাবে অর্থমন্ত্রী তাদের উপরোক্ত আশ্বাস দেন।
কাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১০-১১ বাজেট উপস্থাপন করা হবে।
দেশে কিছুদিনের মধ্যেই জনগণনা বা আদমশুমারির কাজ শুরু হবে জানিয়ে আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, “এর মধ্য দিয়ে আমরা প্রতিবন্ধীদের বিষয়ে বিস্তারিত ধারণা পাবো। ”
প্রতিনিধি দলে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জাতিসংঘের প্রতিবন্ধী অধিকার বিষয়ক কমিটির সদস্য মনসুর আহমেদ চৌধুরী, প্রতিবন্ধী ও জাতীয় প্রতিবন্ধী ফোরামের সভাপতি খন্দকার জহুরুল আলম, প্রতিবন্ধী পিতা ও সাংসদ অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, বাংলাদেশে ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মো. ফরাসউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপকালে বাজেটে মোট বরাদ্দের ১০ ভাগ প্রতিবন্ধীদের জন্য রাখার দাবি জানান আব্দুল মতিন খসরু।
তিনি বলেন, “সরকার প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে দীর্ঘ মেয়াদি নানা উদ্যোগ নিলে তারা আর অন্যের অনুগ্রহের পাত্র হয়ে থাকবে না। ”
ড. ফরাসউদ্দীন প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে ২১টি খাতে মোট ৪৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ ও তাদের উন্নয়নে ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের দাবি জানিয়ে বলেন, “সংবিধানেই উল্লেখ আছে প্রতিবন্ধীদের দায়িত্ব সরকার নেবে। ”
ফজলে রাব্বী বলেন, “দেশে প্রতিবন্ধীদের কোনো পরিসংখ্যান নেই। তাদের জন্য সরকারের সহায়তা থাকলেও পরিসংখ্যান না থাকার কারণে তার সুষম বণ্টন করা যায় না। ”
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৭৪২, জুন ৯, ২০১০
এইচএ/কেএল/জেএম