ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৯ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আগামী অর্থ বছরে বিদ্যুৎ খাতের বাজেট ৫ হাজার ৮০০ কোটি টাকা

হাসান আজাদ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৮, ২০১০

ঢাকা: অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আগামী অর্থ বছরের (২০১০-১১) বাজেটে বিদ্যুৎ খাতকে সবোর্চ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। আগামী অর্থবছরে এই খাতে প্রস্তাবিত বাজেটের পরিমাণ পাচঁ হাজার ৮শ কোটি টাকা।

চলতি অর্থ বছরের (২০০৯-১০) তুলনায় দুই হাজার ২২১ দশমিক ১১ কোটি টাকা। গত ফেব্রুযারি মাসের শেষ সপ্তাহে আগামী অর্থ বছরের জন্য বিদ্যুৎ খাতের প্রস্তাবিত বাজেট বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। উল্লেখ্য, চলতি অর্থ বছরের বিদ্যুৎ খাতের বরাদ্দ ছিল তিন হাজার ৫৭৮ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ সচিব আবুল কালাম আজাদ বাংলানিউজ’কে এ বিষয়ে জানান, আমরা আগামী অর্থ বছরের জন্য বিদ্যুৎ খাতের প্রস্তাবিত বাজেট অর্থমন্ত্রনালয়ে পাঠিয়েছি। আমরা আশাবাদী আমাদের প্রস্তাবিত বাজেট অনুযায়ীই বরাদ্দ দেয়া হবে। একই সঙ্গে সরকার এবার বিদ্যুৎ খাতকে সবোর্চ্চ বরাদ্দ দেয়া হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।  

বিদ্যুৎ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ২০১০-১১ অর্থ বছরের জন্য বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে মোট ৯৯টি প্রকল্পের বিপরীতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৫ হাজার ৭৯২ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুমোদিত প্রকল্পের সংখ্যা ৪৮টি। এর বিপরীতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তিন হাজার ৬৫২ দশমিক ৬ কোটি টাকা। অন্যদিকে অননুমোদিত প্রকল্পের সংখ্যা ৫১টি। এর বিপরীতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে দুই হাজার ১৪০ দশমিক ১০ কোটি টাকা।  

মোট প্রকল্পের মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগের মোট ৫টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে ৭০ দশমিক ৬৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুমোদিত ৪টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৭ দশমিক ২২ কোটি টাকা এবং অননুমোদিত একটি  প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৩দশমিক ৪৪ কোটি টাকা।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) মোট ২৪টি প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবিত বরাদ্দের পরিমাণ দুই হাজার ৯২৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৩টি অনুমোদিত প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে এক হাজার ১৭২ কোটি টাকা। আর অননুমোদিত ১১টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে এক হাজার ৭৫৫ কোটি টাকা।

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) মোট ২৫টি প্রকল্পের বিপরীতে প্রস্তাবিত বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৯৫ দশমিক ৫০ কোটি টাকা। মোট প্রকল্পের ৯টি অনুমোদিত প্রকল্পের বরাদ্দ ২৪৭ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা ও ১৬টি অননুমোদিত প্রকল্পের বরাদ্দ ১৪৭ দশমিক ১৫ কোটি টাকা।

ঢাকা পাওয়ার জেনারেশন ও ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (ডিপিডিসি) মোট ৯টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে তিনশত ৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুমোদিক ৫টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দুইশত ৯৮ কোটি এবং অননুমোদিত ৪টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ১০ কোটি টাকা রাখা হয়েছে।

ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী লিমিটেড (ডেসকো) এর ২টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেড়শ কোটি টাকা। এই দুটি প্রকল্পই অনুমোদিত।

পাওয়ার গ্রীড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) মোট ১৭টি প্রকল্পের জন্য মোট ৪৬০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এর মধ্যে অনুমোদিত ৮টি প্রকল্পের জন্য ৩৯০ কোটি টাকা এবং অননুমোদিত ৯টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৭০ কোটি টাকা।

ইলেকট্রিক জেনারেশন কোম্পানী অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি) মোট প্রকল্প ৩টি। অনুমোদিত এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫শ ৫০ কোটি টাকা।

রুলার পাওয়ার ডেভলভমেন্ট কোম্পানী লিমিটেড (আরপিডিসিএল) এর মোট ৩টি প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে একশ ২ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুমোদিত একটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে একশত কোটি টাকা। বাকী অননুমোদিত ২টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২ কোটি টাকা।

নর্থ জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (নওপাজেকো) মোট ৫টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৭৪৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুমোদিত ২টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ছয়শত ৯৭ দশমিক ৯৯ কোটি টাকা ও অননুমোদিত ৩টি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪৬ দশমিক এক কোটি টাকা।

নর্থ-ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (নওজোপাডিকো) মোট ৪টি অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৬ দশমিক ৫০ কোটি টাকা।

ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড (ওজাপাডিকো) এর দুটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। এর মধ্যে অনুমোদিত প্রকল্পের জন্য কোন বরাদ্দ রাখা না হলেও  অননুমোদিত প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা।

এছাড়া ২০১০-১১ অর্থ বছরে অনুন্নয়ন খাতে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৭ দশমিক ৩৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদ্যুৎ বিভাগ (সচিবালয়) ৫ দশমিক ৭১ কোটি , জ্বালানী নিরীক্ষা সেল ৭৪ লাখ ও  বৈদ্যুতিক উপদেষ্টা দফতর ৮৯ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৮৩৭ ঘন্টা, ১২ এপ্রিল, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।