ঢাকা: বাংলাদেশের শ্রম বিরোধ নিরসন নিয়ে এক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ৩০ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
কর্মশালায় কর্মকর্তাদের শ্রম সংক্রান্ত বিভিন্ন কৌশল ও শ্রম বিরোধ আইন চর্চার বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) ‘প্রমোটিং ফান্ডামেন্টাল প্রিন্সিপ্যালস অ্যান্ড রাইটস অ্যাট ওয়ার্ক ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
ইউএস ফেডারেল মেডিয়েশন অ্যান্ড কনসিলেশন সার্ভিসের (এফএমসিএস) সহযোগিতায় এ প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিদফতর।
রাজধানীতে ১৩ থেকে ১৫ ডিসেম্বর দুইটি সেশনে ‘ইন্টারেস্ট বেজড নেগোসিয়েশনস অ্যান্ড জয়েন্ট প্রবেলেম সলভিং (আইবিএন)’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রশিক্ষক ছিলেন এফএমসিএস-এর কমিশনার আলিন বারকাস হফম্যান, ডেভিড রায়ান থালের, ম্যাথু ককরিট এবং রোসা মারিয়া টিসকারেনো।
কর্মশালায় বলা হয়, বাংলাদেশে শ্রম বিরোধ বেড়েই চলছে। দেশে শ্রম বান্ধব ইউনিয়নের অভাব, শ্রমিক হয়রানি, ন্যায্য মজুরি সংক্রান্ত বিরোধ নিরসনে কার্যকর পদক্ষেপের অভাব রয়েছে।
জাতীয় শ্রম আইনে শ্রমিকদের বিরোধ মীমাংসার ক্ষেত্রে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) বিধান রয়েছে। তবে স্বাধীনভাবে প্রাতিষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার অভাব, পদ্ধতিগত নির্দেশিকা, কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ এবং কার্যকারিতা মূল্যায়নের অভাবে তা নিষ্পত্তি সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে শ্রম আদালতে মামলার স্তুপ পড়ে আছে। দেশের সাতটি শ্রম আদালতে প্রায় ১৫হাজার মামলা ঝুলে আছে, এরমধ্যে বেশির ভাগই পড়ে আছে ৫ বছরেও অধিক সময় ধরে।
এমনকি শিল্পাঞ্চল গাজীপুর এবং নারায়ণগঞ্জে কোনো শ্রম আদালত নেই। আইনি জটিলতাসেহ এসব কারণে মামলাগুলোর বিচারকাজ সম্পন্ন করা সম্ভব হচ্ছে না।
কর্মশালায় আইএলও বাংলাদেশ-এর আরএমজি প্রোগ্রামের ম্যানেজার তুউমো পাউতিনেন, শ্রম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন, বিআইএম-এর সিনিয়র ম্যানেজমেন্ট কাউন্সিলর আ ন ম শহীদুল্লাহ বক্তব্য দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৪