নারায়ণগঞ্জ: নারায়ণগঞ্জে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের কারণে রফতানিমুখী একটি গার্মেন্ট কারখানার ৮০৪ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। এছাড়া ধর্মঘট করায় একই কারখানার ১৯১ জন কর্মচারীকে শোকজও করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লার পঞ্চবটি এলাকায় অবস্থিত রহিম আজিজ সোয়েটার নামে ওই কারখানায় শ্রমিকদের বকেয়া পাওনাদি পরিশোধ করে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়।
জানা গেছে, বায়ারদের আমেরিকান ভিত্তিক সংগঠন একর্ড কর্তৃক রহিম আজিজ সোয়েটারের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত হওয়ায় গত দু’মাস ধরে বন্ধ ছিল প্রতিষ্ঠানটি। কারখানা খোলার দাবিতে শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছিলেন।
জাতীয় শ্রমিক লীগের শ্রমিক কল্যাণ ও উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনাইটেড ফেডারেশন অব গার্মেন্ট ওয়ার্কার্স এর কেন্দ্রীয় কার্যকরী সভাপতি কাউসার আহমেদ পলাশ বাংলানিউজকে জানান, শ্রমিকদের দাবির বিষয়টি নিয়ে বিকেএমইএ’র সভাপতি সংসদ সদস্য সেলিম ওসমান, বিকেএমইএ’র সাবেক প্রথম সহসভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা জানিয়েছেন একর্ড কর্তৃক ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষিত হওয়ায় এবং আগামীতে রফতানির সরবরাহ আদেশ পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় মালিকপক্ষ কারখানা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
তিনি জানান, বুধবার মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আরএমজির সভাতেও বিষয়টি উত্থাপন করার পরে বিকেএমইএ’র সহ সভাপতি (অর্থ) জিএম ফারুক একই বক্তব্য দিয়েছিলেন। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে মালিকপক্ষ শ্রমিকদের নোটিশ পে, সার্ভিস চার্জ, বেসিক বেতনসহ সমুদয় পাওনাদি পরিশোধ করেছে।
বিকেএমইএ‘র সহ সভাপতি (অর্থ) ও শ্রমিক সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান জিএম ফারুক জানান, ফ্যাক্টরিটির ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় বায়ারদের আমেরিকান ভিত্তিক সংগঠন একর্ড ওই শিল্প প্রতিষ্ঠানে কোনো ধরনের সরবরাহের আদেশ দিচ্ছিলো না। এ কারণে প্রতিষ্ঠানটির মালিকপক্ষ ৮০৪ জন শ্রমিককে চাকরিচ্যুত করেছে। এছাড়া ধর্মঘট করার কারণে ১৯১ জন কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে।
জিএম ফারুক আরও জানান, বায়ারদের সংগঠন অ্যালায়েন্স কোনো গার্মেন্টস বন্ধ হলে শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে থাকে। তবে অ্যাকর্ড কোন ক্ষতিপূরণ দিচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৪