ঢাকা, রবিবার, ৭ পৌষ ১৪৩১, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

‘বনরূপার প্লট গ্রাহকদের বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪
‘বনরূপার প্লট গ্রাহকদের বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি’ ছবি: রেহানা / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: রাজধানীর বনরূপা আবাসিক প্রকল্পের প্লট গ্রাহকদের দ্রুত বুঝিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বনরূপা প্লট ওনার্স সোসাইটি নামে প্লট মালিকদের একটি সংগঠন।

শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি জানানো হয়।



সোসাইটির আহ্বায়ক আবদুল মান্নান চৌধুরী খসরু বলেন, প্রায় ১৮ বছর ধরে বনরূপা আবাসিক প্রকল্পটি অবহেলিত রেখে গ্রাহকদের প্লট হস্তান্তর, রেজিস্ট্রি প্রদান, প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ বন্ধ রেখেছেন প্রকল্পের মালিক এস শফিক আহম্মেদ। এই প্রকল্পের মালিক শফিক আহম্মেদ অনেক গ্রাহকের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। চুক্তিপত্র থেকে ৩ লাখ টাকা অতিরিক্ত নিচ্ছেন।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, প্রকল্পটি বয়স ১৮ বছর পার হলেও এখানে ঘর-বাড়ি, ইমারত স্থাপনের জন্য রাজউক থেকে এখনও কোনো প্রকার অনুমোদন গ্রহণ করেনি প্রকল্পের মালিক। বরং প্লটগুলো ফেরৎ নিতে দালালের মাধ্যমে গ্রহিতাদের নামমাত্র টাকা দিয়ে বিদায় করতে চাচ্ছে। এছাড়াও এই প্রকল্পে নিজের ইচ্ছামত প্লট সংখ্যা বাড়িয়েছেন।

তিনি বলেন, ১৯৯৬ সালে হাজী শাহাবুদ্দিন রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকায় বনরূপা আবাসিক প্রকল্প স্থাপন করেন। তিনি প্রকল্পের ১হাজার ৫৫১টি প্লট সৃজন করে ৪০০টি প্লট গ্রাহকদের রেজিস্ট্রি করে দেন। ২০০৬ সালের মাঝামাঝি প্রকল্পের সার্বিক উন্নয়নসহ প্লট রেজিট্রির পূর্বের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার শর্তে শফিক আহম্মেদ কিনে নেন। কিন্তু শফিক আহমেদ এখন প্রকল্পের প্লট নিয়ে প্রতারণা ও দুর্নীতি করছেন। দ্রুত প্লট বুঝিয়ে দিতে এবং শফিক আহম্মেদের প্রতারণা থেকে গ্রাহকদের রক্ষার জন্য প্রশাসনের সাহায্য কামনা করি।
 
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বনরূপা প্লট ওনার্স সোসাইটির সদস্য সচিব মীর আব্বাস আলী, সদস্য আবদুল মজিদ চৌধুরী, গোলাম কিবরিয়া, হুমায়ন কবির, আমীর আলী, ইব্রাহীম হোসেন,শরিয়ত উল্লাহ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।