ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

অর্থনীতিতে ব্যবসায়ীদের অবদান সবচেয়ে বেশি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪
অর্থনীতিতে ব্যবসায়ীদের অবদান সবচেয়ে বেশি ছবি: রেহানা/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ব্যবসায়ীদের অবদান সবচেয়ে বেশি। তাদের নেতৃত্বেই এ দেশের অর্থনীতি এগিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।


 
রোববার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে আয়োজিত এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
 
‘বেস্ট ইনটেনডরস অ্যাওয়ার্ড-২০১৪’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ ইনডেন্টিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিআইএএ)।
 
মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমান সরকার খুবই ব্যবসাবান্ধব সরকার। আমরা ব্যবসায়ীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। তাদের নেতৃত্বে আমরা অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে গেছি। কিন্তু স্বাধীনতার পর অনেকে মন্তব্য করেছিল বাংলাদেশ না-কি একটি তলা বিহীন ঝুড়ি। আমরা তাদের সেই ধারণা ভুল প্রমাণ করেছি।
 
তোফায়েল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশকে আজ বিশ্বে উন্নয়নের মডেল ধরা হয়। কেউ কেউ বলছে আগামীতে অর্থনৈতিকভাবে উন্নত শীর্ষ ১১টি দেশের মধ্যে থাকবে। আবার কেউ বলছে ৫টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ হবে অন্যতম।

সেবা রপ্তানি বিনিময়ে ইনডেন্টিং কমিশন হিসেবে সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও দেশে প্রত্যাবাসনকারী  চার ইনডেন্টিং সংস্থাকে স্বীকৃতি ও সম্মাননা প্রদান করেছে বিআইএএ ।
 
সংস্থা চারটি হলো- ডিএসএম কমোডিটিস, ওয়েলকট ইন্টারন্যাশনাল, দে’জ ইউনাইটেড সাপ্লাইয়ার্স কোং লি. এবং কালার কোয়েস্ট লি.।
 
কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। পুরস্কারপ্রাপ্তদের মাঝে ক্রেস্ট তুলে দেওয়ার সময় তোফায়েল আহমেদ বেশ উত্তেজিত হয়ে উঠেন। আয়োজকদের অগোছালো অবস্থায় তিনি বলেন, এভাবে অগোছালো হলে অনুষ্ঠান করা যায় না। এর চেয়ে পুরস্কার না দেওয়াই ভাল ছিল।
 
পাকিস্তানকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্র উল্লেখ করে তিনি বলেন, পাকিস্তানে একটি সেনা শাসিত এলাকায় একটি স্কুলে ১৫০ ছাত্রকে হত্যা করা হয়। কিন্তু বাংলাদেশ অনেক জঙ্গি তৎপরতা ব্যর্থ করতে পেরেছে।
 
পাকিস্তানের থেকে বাংলাদেশের সব সূচকে এগিয়ে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, গড় আয়ু, নারী শিক্ষা, রিজার্ভ রেমিটেন্স ইত্যাদিতে এগিয়ে রয়েছে। এছাড়া শিশু ও মাতৃত্বকালীন মৃত্যুহার পাকিস্তানের থেকে কম।
 
নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী দেশে গত নির্বাচন হয়েছে। তাই আগাম নির্বাচন দেওয়ার জন্য যদি কেউ দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চাই তবে তা বাস্তবায়ন হবে না। তার প্রমাণ গাজীপুর। বিদেশে বসে আমাদের মহান নেতাকে নিয়ে একটি ছেলে যদি মন্তব্য না করতো তবে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না।
 
তিনি আরও বলেন, আগামী ২০১৯ সালের আগে দেশে কোনো নির্বাচনের কোনো সম্ভাবনা নেই। হরতাল দিয়েও কোনো লাভ নেই। হরতাল দিয়ে কে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে? ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ।
 
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, গত ২০১১-১২ ও ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ সংস্থাগুলো সর্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা ইন্ডেন্টিং কমিশন হিসেবে দেশে প্রত্যাবাসন করায় তাদের পুরস্কৃত করা হয়।
 
সংস্থার পক্ষ থেকে পুরস্কার গ্রহণ করেন ডিএসএম কমোডিটিসের স্বত্ত্বাধিকারী দীপক কুমার বড়ুয়া, ওয়েলকট ইন্টারন্যাশনানের স্বত্ত্বাধিকারী জুরুজ্জামান, দে’জ ইউনাইটেড সাপ্লাইয়ার্স কোং লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী সুনান্দ দে এবং কালার কোয়েস্ট লিমিটেডের স্বত্ত্বাধিকারী কাজী আব্দুস সালাম।
 
বিআইএএ’র সভাপতি কে এম এইচ শহিদুল হকের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন- এফবিসিসিআই’র সভাপতি কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মনোয়ারা হাকিম আলী প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।