বগুড়া: কর্তৃপক্ষের অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে গিয়ে পরিকল্পিতভাবে বিক্রয় বিজ্ঞপ্তিতে শর্ত বদলানো হয়েছে। যে কারণে বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের ৯৫ শতাংশ ইটভাটা মালিক কয়লা কিনতে পারেননি।
বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেছে বগুড়া জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, চলতি বছরে ইট পোড়ানোর মৌসুমের শুরুতে তীব্র কয়লা সংকট হওয়ায় বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চল তথা সারাদেশের অধিকাংশ ইটভাটাতেই আগুন দেওয়া সম্ভব হয়নি। কিছু ভাটায় আগুন দিলেও তাদের ব্যয় বেড়েছে কয়েক গুণ। দিনাজপুর জেলার পার্বতীপুর উপজেলার চৌহাটি নামক স্থানে দেশের মধ্যে একমাত্র বড় পুকুরিয়া কয়লার খনিতে দীর্ঘদিন কয়লা উত্তোলন বন্ধ ছিল। একই সময়ে পরিবেশবাদীদের চাপের কারণে ভারত থেকেও কয়লা আমদানি বন্ধ ছিল। যে কারণে চাহিদার তুলনায় যোগানের সীমাবদ্ধতা প্রকট হয়ে দেখা দেয়। ফলে অস্বাভাবিক হারে কয়লার দাম বেড়ে যায়।
ঠিক এমনি একটি মুহূর্তে বরাবরের মতো কয়লা বিক্রির জন্য বিক্রয় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয় পত্রিকায়। কিন্তু সেখানে নতুন শর্তারোপ করায় দুই থেকে আড়াই হাজারের পরিবর্তে এ বছর ২০ হাজার আবেদন জমা পড়ে। কর্তৃপক্ষের অসৎ উদ্দ্যেশ্যে কৌশলে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় প্রকৃত ইটভাটা মালিকরা কয়লা কিনতে পারেননি।
তাই অবিলম্বে এ অসাধুতা বন্ধ করে মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের হাত থেকে কয়লার মতো গুরুত্বপূর্ণ জ্বালানি উৎপাদন যাতে জিম্মি না হয়ে পড়ে সেজন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সঙ্গে প্রকৃত ইটভাটা মালিকরা যাতে তাদের চাহিদামতো কয়লা কেনার অনুমতি পান, তা নিশ্চিত করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষসহ প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য পাঠ করেন বগুড়া জেলা ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কালাম আজাদ। উত্তরবঙ্গ ইট প্রস্তুতকারক মালিক সমিতির আহবায়ক, সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এমএসএম আতিকুর রহমান বাদল, সহ সভাপতি মাহফুজ সিদ্দিক লিটন, সহ কোষাধ্যক্ষ আলহাজ রফিকুল ইসলাম, উপদেষ্টা রেজাউল করিম বাবলু, জুবায়ের হাসান শাহিন, মাকসুদার রহমানসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪