ঢাকা, মঙ্গলবার, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১, ১৫ অক্টোবর ২০২৪, ১১ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

নাটোরে প্রাণ অ্যাগ্রো-ফ্যাক্টরিতে পাঁচহাজার লোক নিয়োজিত

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪
নাটোরে প্রাণ অ্যাগ্রো-ফ্যাক্টরিতে পাঁচহাজার লোক নিয়োজিত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: অ্যাগ্রোভিত্তিক পণ্য উৎপাদন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়তার লক্ষ্যে ২০০১ সালে নাটোরের একডালায় স্থাপিত হয় প্রাণ-এর অ্যাগ্রো-ফ্যাক্টরি।

বছর জুড়ে এখানে প্রায় পাঁচহাজার লোক নিয়োজিত থাকে বিভিন্ন পণ্য উৎপাদন কাজে।

এছাড়া আম ও টমেটোর মৌসুমে আরো প্রায় দুই হাজার লোকের বাড়তি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। কর্মরত এসব শ্রমিকের অধিকাংশই নারী।

এদের অধিকাংশই নাটোর ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বসবাস করেন বলে জানিয়েছেন, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল।    

তিনি জানান, দেশের উত্তরাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি কৃষিজাত পণ্য উৎপাদিত হয়। সে জন্য প্রাণ নাটোরে অ্যাগ্রো-ফ্যাক্টরি স্থাপন করেছে। এ অঞ্চলের নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর, রংপুর এবং কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, খাগড়াছড়িসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রাণের প্রায় ৭৮ হাজার চুক্তিভিত্তিক কৃষক রয়েছেন।

তিনি বলেন, এ সব কৃষক আম, টমেটো, চাল, বাদাম, ডাল, পেয়ারা, দুধসহ বিভিন্ন কৃষিজপণ্য উৎপাদন করেন। প্রাণ-এর খাদ্যপণ্য প্রস্তুত হয়, এ সব চুক্তিভিত্তিক কৃষকদের উৎপাদিত কাঁচামাল থেকে।

কামরুজ্জামান কামাল জানান, প্রাণ-এর জ্যাম-জেলি, মশলা, সস, আচার, চাটনি, নুডলস, সরিষার তেল, লাচ্চাসহ বিভিন্নপণ্য উৎপাদনের জন্য এখানে বর্তমানে মোট ১৪টি প্রোডাকশন লাইন চালু রয়েছে। এছাড়া আম ও টমেটো মৌসুমে সেগুলি সংগ্রহ করে এ ফ্যাক্টরিতে পাল্প তৈরি করা হয়।  

নাটোর ফ্যাক্টরিতে গ্যাসের সুবিধা না থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন, নতুন কোনো প্রোডাকশন লাইন স্থাপন করার উদ্যোগ নিতে পারছি না। তাছাড়া বর্তমান ব্যবস্থায় উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক বেশি। গ্যাসের সুবিধা না থাকায় এখান থেকে আমরা আমের পাল্প সংগ্রহ করে নরসিংদীতে প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে নিয়ে ম্যাংগো ড্রিংক উৎপাদন করে থাকি।

তিনি বলেন, প্যাকেটজাত দুধ উৎপাদনের ক্ষেত্রেও একই বিষয় ঘটে। আমরা পাবনা, সিরাজগঞ্জ, নাটোর ও রংপুরে খামারিদের কাছে থেকে দুধ সংগ্রহ করে তা প্রক্রিয়াজাত করার জন্য নরসিংদীতে নিয়ে যাই।

আর নাটোর ফ্যাক্টরিতে গ্যাসের সুবিধা পেলে আমরা সেখানেই ডেইরি প্ল্যান্টসহ অন্যান্য প্ল্যান্ট স্থাপন করবো। এতে করে এই অঞ্চলে বাড়তি কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, দারিদ্র্য দূর হবে এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন ঘটবে বলেও জানান প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের বিপণন পরিচালক কামরুজ্জামান কামাল।

নাটোর প্রাণ ফ্যাক্টরির এজিএম সারোয়ার হোসেন বলেন, সব ধরনের আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ ১২৫ বিঘা আয়তনের এই ফ্যাক্টরিতে ৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন প্ল্যান্ট রয়েছে।

এ ছাড়া কয়লাচালিত দুটি চুল্লি রয়েছে, যার মাধ্যমে প্রতি ঘণ্টায় একটিতে ২০ টন এবং অন্যটিতে ১০ টন জ্বালানি উৎপাদিত হয়। তাছাড়া ফ্যাক্টরির বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য রয়েছে, দুটি ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি)।

বর্তমানে যে ১৪টি প্রোডাকশন লাইন রয়েছে, সেগুলির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সম্প্রসারণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।       
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।