পার্বতীপুর (দিনাজপুর): দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে উত্তোলিত কয়লা সারাদেশের ৪২৭টি ইটভাটাসহ ৫৯৪টি প্রতিষ্ঠানে সরবরাহ শুরু হয়েছে।
সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে কয়লা সরবরাহ শুরু করা হয়।
প্রথম ধাপে ৫৯৪টি প্রতিষ্ঠানের কাছে প্রায় ৬০ হাজার মেট্রিক টন কয়লা সরবরাহ করা হবে।
খনি কর্তৃপক্ষ সূত্র জানায়, ৭ মাস পর বড়পুকুরিয়া খনি কর্তৃপক্ষ প্রতিটন কয়লা ১২ হাজার টাকা দরে বিক্রির জন্য সম্প্রতি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৪ হাজার ৮০০টি প্রতিষ্ঠান কয়লা ক্রয়ের জন্য আবেদনপত্র জমা দেয়। এতে কয়লার চাহিদা দাড়ায় প্রায় ৭ লাখ টন। কিন্তু খনি কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রয়যোগ্য কয়লার মজুদ মাত্র ৬০ হাজার টন থাকায় কয়লা পাওয়ার জন্য বিভিন্ন প্রকার তদবির শুরু হয়।
তবে খনি কর্তৃপক্ষ তদবির উপেক্ষা করে বিক্রয়যোগ্য কয়লার মজুদ অনুযায়ী গত ২৪ ডিসেম্বর পার্বতীপুর ও ফুলবাড়ী উপজেলার সব ইটভাটাসহ দিনাজপুর জেলার ইটভাটাগুলোকে অগ্রাধিকার দিয়ে সারাদেশের ৫৯৪টি প্রতিষ্ঠানের প্রতিটিকে ১০০ টন হিসেবে ৫৯ হাজার ৪০০ টন কয়লা বরাদ্দ দিয়ে ক্ষুদেবার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে তা জানিয়ে দেয়।
প্রথম ধাপে বরাদ্দ পাওয়া ৫৯৪টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইটভাটা ৪২৭টি, বয়লার চালিত শিল্প কারখানা ৩০টি এবং সরবরাহকারী (ট্রেড লাইসেন্সধারী) ১৩৭টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে বলে খনি কর্তৃপক্ষ জানায়। এরমধ্যে দিনাজপুর জেলায় ১৬০টি, রংপুর জেলায় ৫৭টি এবং বগুড়া জেলার ৪০টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিনুজ্জামান ও মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন, অর্থ ও হিসাব) একেএম সিরাজুল ইসলাম সোমবার বিকেলে বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
চলতি বছরের ১০ মে খনি ভূগর্ভে ১২০৫ নম্বর কোলফেজে অস্বাভাবিক পানি প্রবাহের ফলে কয়লা উত্তোলন বন্ধ হয়ে যায়। পার্শ্ববর্তী বড়পুকুরিয়া ২৫০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রাখতে জ্বালানি সংকট এড়াতে গত জুন মাস থেকে খোলাবাজারে কয়লা বিক্রি বন্ধ করে দেয় খনি কর্তৃপক্ষ।
পরবর্তীতে ১২১২ নম্বর কোলফেজ উন্নয়ন করে গত ১৫ নভেম্বর পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু করা হয় এবং ৩০ নভেম্বর থেকে খনি পূর্ণমাত্রায় (সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টন) কয়লা উৎপাদনে যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪