ঢাকা : ২০১০-১১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কর্পোরেট ট্যাক্স ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ নির্ধারণ এবং ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেনের ওপর উৎসে আয়কর কমানোর দাবি জানিয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। আজ শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেট পরবর্তী এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএসই সভাপতি মো. শাকিল রিজভী এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন ডিএসই-এর সাবেক সভাপতি মো. রকিবুর রহমান, মো. আবদুল হক, সাবেক সহ-সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, মার্চেন্ট ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো.আরিফ খান, সাবেক সভাপতি ফজলুল রহমান, ডিএসই-এর প্রধান নির্বাহী সতিপতি মৈত্র প্রমুখ।
ডিএসই সভাপতি বলেন, ‘বিও (বেনিফিসিয়ারি ওনার্স) হিসাব খোলার জন্য টিআইএন (ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর) বাধ্যতামূলক না করা এবং বিনিযোগকারীদের মূলধনী মুনাফার ওপর কর আরোপ না করাকে আমরা স্বাগত জানাই। ’
প্রস্তাবিত বাজেটে কর্পোরেট ট্যাক্স ১০ শতাংশ ও ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেনের ওপর উৎস আয়কর ১ লাখ টাকায় ১০০ টাকা করার যে প্রস্তার করা হয়েছে তা পুঁজিবাজার-বান্ধব নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
মো. শাকিল বলেন, বর্তমানে ব্রোকারেজ হাউজগুলো ১ লাখ টাকা লেনদেনের ওপর ২৫ টাকা আয়কর দিচ্ছে। এটা এক লাফে ১০০ টাকা না করে ৩৫ টাকা করা যেতে পারে। তা না হলে ব্রোকারেজ হাউজগুলো বিনিয়োগকারীদের ওপর বাড়তি চার্জ আরোপ করতে বাধ্য হবেন । আর এতে করে লেনদেন কমে যাবে।
বাজারে শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর জন্য সরকার-ঘোষিত ২৬টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দ্রুত সময়ে বাজারে ছাড়ার দাবি জানান ডিএসই সভাপতি।
ডিএসই-এর সাবেক সভাপতি রকিবুর রহমান বলেন, সরকার পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহ করে বাজেট ঘাটতি ৫ শতাংশ থেকে ৩ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে। এছাড়া পদ্মা সেতুসহ বড় বড় অবকাঠামো নির্মাণে বিদেশিদের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে পুঁজিবাজারে শেয়ার ছেড়ে অর্থ সংগ্রহ করতে পারে সরকার। এতে করে বিদেশের ওপর নির্ভরশীলতা কমে আসবে।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময় ঃ ১৫২৯ ঘন্টা, ১২ জুন ২০১০
জিএস/এএইচএস/জেএম