ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশি বলে ভারতীয় গরু চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা!

মাহবুবুর রহমান মুন্না, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
দেশি বলে ভারতীয় গরু চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

খুলনা: ইদুল আজহাকে সামনে রেখে ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল-শার্শার বিভিন্ন সীমান্ত পথে গরু আসতে শুরু করেছে।

ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে স্থানীয় বাজারের চাহিদা মেটাতে সীমান্তবর্তী দু’দেশের রাখাল, বেপারি, ও পাইকারর‍া ঝুঁকি নিয়ে গরু আনা-নেওয়া করছেন।



তবে ভারত থেকে গরু আসছে না এ কথা বলে, খুলনাঞ্চলে কোরবানির পশুর হাটে সঙ্কট তৈরির চেষ্টা করছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। ক্রেতারা বলছেন, ভারত থেকে গরু আসছে না এমন গুজব রটিয়ে গরুর দাম বেশি হাঁকাচ্ছেন বেপারিরা।

রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) খুলনার জোড়াগেট পশুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, দেশি গরুর পাশাপাশি ভারতীয় গরুও উঠেছে বাজারে। তবে ভারতীয় গরুর গায়ের সিল তুলে দেশি গরু বলে বিক্রির চেষ্টা করছেন কিছু অসাধু বেপারি। এসব গরুর আকৃতি অনেকটা দেশি গরুর মতো। এ কারণে অনেকেই না বুঝে দেশি গরুর দামে কিনছেন ভারতীয় গরু।

গরু কিনতে আসা পশ্চিম রূপসা এলাকার কোরবান আলী ফকির জানান, পত্রিকা ও টিভিতে ভারত থেকে গরু আসছে বলে খবর দেখালেও, বেপারিরা বাজারে এসব গরু বেশি আনছেন না। কিছু আনলেও তা দেশি গরু বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

নাজমুল নামে এক ক্রেতা বলেন, টিভিতে দেখেছি ভারত থেকে গরু আসছে। কিন্তু বাজারে এলে বেপারিরা বলছেন, গরু আসছে না। তাহলে গরুগুলো কোথায় যাচ্ছে!

খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইলের আশরাফ,  চুকনগরের জলিল, খর্নিয়া এলাকার মিঠু বেপারি জানান, যশোরের শার্শা, বেনাপোল ও সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে কিছু গরু আসছে। তবে তা আগের বছরের তুলনায় খুবই কম।

তারা স্থানীয় খামারিদের গরু কিনে বিক্রি করছেন বলে জানান।

ঈদকে সামনে রেখে খুলনা মহানগর ও জেলার ২৭টি পশুর হাটে বেচা-কেনা শুরু হয়েছে। নগরীর জোড়াগেট পাইকারি কাঁচা বাজারে বসেছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় কোরবানির পশুর হাট। খুলনা সিটি করপোরেশন নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এ হাট পরিচালনা করছে।

এছাড়া খুলনার নয়টি উপজেলার প্রধান প্রধান হাটগুলো হলো- রূপসা উপজেলার সেনেরবাজার, পূর্ব রূপসা গরুর হাট, পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী, ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল, খর্ণিয়া, শাহপুর, তেরখাদা উপজেলার ইখড়িকাটেঙ্গা, ফুলতলা উপজেলা সদর, দাকোপ উপজেলার বাজুয়া, চালনা ও কয়রা উপজেলার ঘুগরাকাটি হাট।

এদিকে, পশুর হাটের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরা ও জাল টাকা সনাক্তকরণে বুথ স্থাপন, ব্যবসায়ীদের অর্থ বহনে পুলিশি সহায়তা এবং রোগাক্রান্ত ও অপদ্রব্য খাওয়ানো পশু সনাক্তকরণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টহলও জোরদার করা হয়েছে।

খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ বাংলানিউজকে বলেন, আসন্ন ঈদে গরু, ছাগল বা ভেড়ার কোনো সঙ্কট হবে না। সারা দেশে কোরবানিযোগ্য গরু রয়েছে ৩০ লাখ এবং ছাগল ও ভেড়া রয়েছে ৬৯ লাখ।

সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় গরু আসছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বিষয়। ভারত থেকে গরু না এলেও এবারের ঈদে এর কোনো প্রভাব পড়বে না। ইতোমধ্যে মায়ানমার থেকে বৈধ পথে অনেক গরু আসছে। যা কোরবানির জন্য যথেষ্ট।

বাংলাদেশ সময়: ০৭২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৫
এমআরএম/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।