ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যাংকপাড়ায় এখনো ঈদের আমেজ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
ব্যাংকপাড়ায় এখনো ঈদের আমেজ ছবি: দীপু মালাকার/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: ঈদের ছুটি শেষে রোববারই (২৭ সেপ্টেম্বর) খুলেছে মতিঝিলের ব্যাংক-বিমা ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের কর্মদিবসেও এসব প্রতিষ্ঠানে ছুটির আমেজ লক্ষ করা গেছে।

কমকর্তা ও কর্মচারীদের উপস্থিতি যেমন কম, তেমনি কম গ্রাহকদের উপস্থিতিও।

বিভিন্ন ব্যাংকের শাখা ঘুরে দেখা যায়, সব কর্মকর্তা এখনো ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দেননি। ভিড় নেই কাউন্টারগুলোতে। সকাল থেকে হাতে গোনা কয়েকজন গ্রাহক লেনদেন করেছেন। সে সুযোগে ঈদের কুশল বিনিময় আর খোশ গল্প করেই সময় পার করছেন কর্মকর্তারা।

তবে স্ট্যান্ডার্ড বাংকের মতিঝিল শাখার কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তার বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের ছুটির পর প্রথম দিন অফিসের তুলনায় দ্বিতীয় দিনে কাজে যোগ দেওয়া কর্মকর্তাদের সংখ্যা বেড়েছে। গ্রাহকদের উপস্থিতি কম আছে। এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ গ্রাহকদের চাপ বাড়তে থাকবে। আশা করছি, এর আগেই ব্যাংকের সব কর্মকর্তা-কর্মচারী ছুটি কাটিয়ে কাজে যোগ দেবেন।

মতিঝিলে অবস্থিত সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়েও ঈদের ছুটির ছাপ দেখা যায়। বেলা ১১টার দিকে বেশ কয়েকজন গ্রাহক দেখা গেলেও কিছুক্ষণেই তা ফাঁকা হয়ে যায়।

সেখানে লেনদেন করতে আসা রাসেল আহমেদ নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, সপ্তাহে কয়েকদিনই এই ব্যাংকে লেনদেন করতে হয়। লম্বা লাইনে না দাঁড়িয়ে কাজ শেষ করা দুরুহ ব্যাপার। কিন্তু এখন ঈদের ছুটির কারণে স্বাভাবিক সময়ের ভিড় নেই। যে কারণে আসামাত্রই কাজ সারতে পেরেছি।  

এক্সিম ব্যাংকের মতিঝিল শাখার কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার বলেন, ব্যাংকে কর্মকর্তাদের উপস্থিতি বেশ কম। লেনদেন খুব বেশি হয়নি। তবে দ্রুতই বড় লেনদেন শুরু হবে।

মতিঝিল ব্যাংক পাড়ার এ দৃশ্য চোখে পড়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার ব্যাংকগুলোতেও। মৌচাকের ইসলামী ব্যাংক শাখায় মাত্র তিনটি কাউন্টারে লেনদেন করতে দেখা যায়।

ব্যাংকটির প্রিন্সিপাল অফিসার মো. বেলাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে এই শাখায় ১০টি কাউন্টারে লেনদেন করতে হয়। কিন্তু ঈদের ছুটির পর লোকজনের ভিড় কম থাকায় আপাতত তিনটি কাউন্টারেই লেনদেন সারা যাচ্ছে। তাছাড়া ব্যাংকের সব কর্মকর্তাও এখনো কাজে যোগ দেননি।

শুধু ব্যাংক নয়, এই চিত্র প্রায় সব অফিসেই। কাজ না থাকায় ঢাকা মহানগর জজ আদালতের টাইপিস্টদেরও অলস সময় পার করতে দেখা যায়।

তবে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইতিমধ্যে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া মানুষ জীবিকর টানে আবার রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই ঢাকা আবারও সেই পুরনো চেহারায় ফিরবে। তখন প্রত্যেক অফিস, আদালতে ফিরবে পুরনো সেই ব্যস্ততার চিত্র।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৮, ২০১৫
জেপি/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।