ঢাকা: একদিনে দুই হাজার ৪৪০ কোটি ২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেনের মধ্য দিয়ে সোমবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) লেনদেনের নতুন রেকর্ড গড়েছে।
এর আগে গত ২৩ মে ২ হাজার ৩০৬ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন ছিল ঢাকার পুঁজিবাজারে এ যাৎকালের সর্বোচ্চ।
বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, লেনদেন শুরুর প্রথম দুই ঘণ্টা ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সব কোম্পানির শেয়ারের দাম এবং উভয় সূচক বেশ উর্ধমুখী থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা অব্যাহত থাকেনি। শেষ এক ঘণ্টায় ব্যাংক, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়ে যায়। এতে উভয় সূচক নেমে যায়।
মুনাফা তুলে নেওয়ার প্রবণতার কারণে শেষ মুহূর্তে এসব খাতের শেয়ারের দাম পড়ে গেছে বলে মনে করছেন বিনিয়োগকারীরা।
এর পরও ‘বাজার স্বাভাবিক রয়েছে’- এমনটি বলছেন ডিএসই সভাপতি ও বিশ্লেষকরা।
অবশ্য বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) চাঙা পুঁজিবাজারে সর্তকতার সঙ্গে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে।
এসইসির সদস্য মো. ইয়াসিন আলী বলেন, “বেশি দামে বিনিযোগকারীদের শেয়ার কেনা উচিত নয়। ”
ডিএসই সভাপতি মো. শাকির রিজভী বলেন, “সরকার একটি পুঁজিবাজার বান্ধক বাজেট দেওয়ায় লেনদেনে নতুন রেকর্ড হয়েছে। তবে চাঙা বাজারে অতিমূল্যায়িত শেয়ার না কিনলেই ভালো। ”
তিনি বলেন, “বাজেটের কিছু অংশ আমরা সংশোধনের দাবি জানিয়েছি। তবুও বলতে হয় পুঁজিবাজারের জন্য এটি একটি ভালো বাজেট হয়েছে। আর এই বাজেটের জন্যই শেয়ারবাজারে লেনদেন বেড়ে গেছে। ”
পুঁজিবাজার বিশ্লেষক ও ডিএসইর সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অধ্যাপক সালাউদ্দিন আহমেদ খান বলেন, “বাজেটে বিনিয়োগের মুলধনী মুনাফার ওপর কোনো কর আরোপ না করায় বাজারে লেনদেন বেড়ে গেছে। ফলে বাজারে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেন বেড়ে গেছে। প্রতি বছরই বাজেটের পর লেনদেন বেড়ে যায়। ”
এদিন ডিএসইতে সাধারণ মূল্যসূচক ৭ দশমিক ৭১ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩২৪ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট এবং ডিএসআই মূল্যসূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৬১ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ২১৩ দশমিক ৫৮ হয়। লেনদেন হওয়া ২৫২টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৩ টির, কমেছে ১১০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৯টির।
লেনদেনের ভিত্তিতে প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো- তিতাস গ্যাস, এবি ব্যাংক, বেক্সিমকো লি., পাওয়ারগ্রিড, ন্যাশনাল ব্যাংক লি., সামিট পাওয়ার, প্রিমিয়ার ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও লঙ্কাবাংলা ফিন্যান্স।
দাম বাড়ার ক্ষেত্রে দিনের প্রধান ১০টি কো¤পানি হলো- মডার্ন ডায়িং, গ্লোবাল ইন্সুরেন্স, বঙ্গজ, নর্দার্ন ইন্সুরেন্স, নিটল ইন্সুরেন্স, অগ্রণী ইন্সুরেন্স, আইএফআইসি, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল, কর্ণফুলী ইন্সুরেন্স ও ৭ম আইসিবি।
দাম কমার শীর্ষ ১০টি কো¤পানি হলো- আর এ কে সিরামিকস্, রেকিট বেঙ্কাইজার, জেমিনী সি ফুড, গালফ্ ফুডস্, সিএমসি কামাল, প্রিমিয়ার ব্যাংক, রহিমা ফুড, ব্যাংক এশিয়া, আইসিবি ইসলামী ব্যাংক ও এপেক্স এডালচি।
বাংলাদেশ স্থানীয় সময়: ১৮২৬ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০১০
জিএস/কেএল/জেএম