ঢাকা, শনিবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

পদ ছাড়তে হচ্ছে দুই ব্যাংকের ৫ পরিচালককে

শাহেদ ইরশাদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
পদ ছাড়তে হচ্ছে দুই ব্যাংকের ৫ পরিচালককে

ঢাকা: ব্যাংক ও অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের যে কোনো একটি পদ ছাড়তে হচ্ছে দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড ও দ্য মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড এর পাঁচ পরিচালককে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যানের কাছে শীঘ্রই চিঠি দেবে বাংলাদেশ।


 
যাদের পদ ছাড়তে চিঠি দেওয়া হবে তারা হলেন- দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড এর পরিচালনা পর্ষদ চেয়ারম্যান রুবেল আজিজ, সদস্য আজিজ আল কায়সার, হোসেন মেহমুদ ও হোসেন খালেদ এবং দ্য মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের ভাইস-চেয়ারম্যান শহিদুল আহসান।
 
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রুবেল আজিজ দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড এবং আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড এর চেয়ারম্যান। এছাড়াও তিনি আইডিএলসিতে দ্য সিটি ব্যাংক মনোনীত এবং জিএফসি ফাইন্যান্স লিমিটেড’ এর পরিচালক পদে রয়েছেন।
 
দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড  ও আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড এর অপর চার পরিচালক হলেন- আজিজ আল কায়সার, মেহেরুন হক, হোসেন মেহমুদ ও হোসেন খালেদ।
 
এদের মধ্যে হোসেন খালেদ ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান। আর শহিদুল আহসান একই সঙ্গে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান ও আইডিএলসি ফাইন্যান্সে মার্কেন্টাইল ব্যাংক মনোনীত পরিচালক।
 
ব্যাংক কোম্পানি আইন ১৯৯১ (সংশোধিত ২০১৩) এর ২৩(১) (ক) উপধারা অনুযায়ী, দেশে কার্যরত কোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে থাকা ব্যক্তি অন্য কোন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদে থাকতে পারবেন না। কিন্তু বিদ্যমান আইন লঙ্ঘন করে তারা একাধিক প্রতিষ্ঠানের পদে রয়েছেন।
 
বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হওয়ায় চলতি বছরের ২৮ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ১৫ দিনের মধ্যে এই ছয় পরিচালককে যে কোনো একটি পদ থেকে পদত্যাগ করতে কোম্পানি সচিব বরাবর চিঠি দেয়।
 
এদের মধ্যে দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক পদ ছেড়ে দিয়েছেন বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে চিঠির জবাব দিয়েছেন মেহেরুন হক।
 
বাকি পাঁচ পরিচালক পদ না ছাড়ার নানা যুক্তি তুলে ধরে আলাদাভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। নিজেদের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেছেন, তারা ব্যক্তি হিসেবে কেউই স্বেচ্ছায় কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পরিচালক হননি। সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদ তাদের মনোনীত করে দায়িত্ব দিয়েছে। সুতরাং তাদের ক্ষেত্রে আইনটি প্রযোজ্য নয় বলে তারা উল্লেখ করেছেন।
 
তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের ব্যাখ্যা আমরা পেয়েছি। মনোনীত পরিচালক হলেও তাদের ব্যাখ্যায় আমরা সন্তুষ্ট নই। কারণ প্রতিষ্ঠান এমন কাউকে মনোনীত করবে না যার দায়িত্ব আইনের পরিপন্থি হবে। আইন মেনেই যে কাউকে মনোনীত করতে হবে। বাকি ৫ পরিচালককে যে কোনো একটি পদ ছাড়তে চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১১০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২১, ২০১৫
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।