ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

কৃষি ঋণে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
কৃষি ঋণে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, কৃষি ঋণ প্রাপ্তিতে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে ও তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

বৃহস্পতিবার (২৯ অক্টোবর) দুপুরে সেচ ভবনে ‘অপেনিং এগ্রিকালচারাল টুওয়ার্ড ইমপ্রুভড নিউট্রিশন অ্যান্ড ওমেনস এম্পাওয়ারমেন্ট’ প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা করেন।



কৃষি মন্ত্রণালয়ের এগ্রিকালচারাল পলিসি সাপোর্ট ইউনিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সহযোগিতায় ছিল ইউএসএআইডি ও ইন্টারন্যাশনাল ফুড পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট (ইএফপিআরআই)।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, কার্ডের মাধ্যমে কৃষকেরা যে কৃষি ঋণ পেয়ে থাকেন, সেখানে নারীদের অংশগ্রহণ খুবই কম। তাই কৃষি ঋণ প্রাপ্তিতে নারীদের অধিকার নিশ্চিত এবং তাদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। এই দুইটা জায়গায় আমাদের নতুনভাবে ভাবতে হবে। নারীদের নামে জায়গা-জমির দলিলের সংখ্যা খুবই কম বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
 
সিলেট বিভাগের নারীরা অনেকাংশেই পিছিয়ে রয়েছেন উল্লেখ করে কৃষি মন্ত্রী বলেন, সিলেট অঞ্চলে নারী অধিকার আদায়ে সচেতন নয়। তবে, এদিক দিয়ে বরিশালের নারীরা এগিয়ে। যেখানে বরিশালের নারীরা ৩১ ভাগ এগিয়ে, সেখানে সিলেটের নারীরা ১১ ভাগে রয়েছে। নারীদের অধিকার ও সচেতনতা বাড়ানোর জন্য অন্তত মাধ্যমিক শিক্ষা পর্যন্ত মেয়েদের শিক্ষা নিশ্চিত করার তাগিদ দেন মন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, এক সময় আমরা বলতাম দুধে ভাতে বাঙালি। এ হিসাবে আমাদের ধানের উৎপাদন অনেক বেড়েছে। এরফলে ভাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। কিন্তু পুষ্টির অন্যতম উপাদান দুধের যোগান বাড়াতে পারি নি।

উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বলেন, আমরা যে ক্যালরি সঞ্চয় করি তার বেশিরভাগই আসে ধান থেকে। তবে,  কৃষির উপাদান ফল, শস্যসহ অন্যান্য পুষ্টিকর সমৃদ্ধ ফসলের উৎপাদন বাড়াতে পারি নি। এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে নারীদের অনেক বেশি সচেতনতা প্রয়োজন।

বক্তারা বলেন, পুষ্টির উপাদান বাড়াতে হলে কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন করতে হবে। এ ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। কৃষি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে কৃষির যে বৈচিত্র্যময় চাষাবাদ রয়েছে, সেগুলোকে মাঠ পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে হবে।
 
অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. নজমুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- এগ্রিকালচারাল পলিসি সাপোর্ট ইউনিটির গবেষণা পরিচালক ও যুগ্ম সচিব ড. তৌফিকুল আলম। এছাড়া প্রকল্পের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য উপস্থাপন করেন ইএফপিআরআই’র চিফ অব পার্টি ড. আকতার আহমেদ।

অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের মহাপরিচালক হামিদুর রহমান ও ইউএসএইড-বাংলাদেশ মিশন পরিচালক জ্যানিনা জেরুজেলসকি প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৫
একে/পিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।