ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ব্যাংক ঋণে সুদের হার ১০ শতাংশে যাবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
ব্যাংক ঋণে সুদের হার ১০ শতাংশে যাবে ফাইল ফটো

জাতীয় সংসদ ভবন থেকে: ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যাংক ঋণে সুদের হার কমানোর চেষ্টা চলছে, বিগত নয় মাসে অনেক কমেও এসেছে। বর্তমানে ব্যাংক ঋণে সুদের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি আনা সম্ভব হয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।



তিনি বলেন, সুদের হার আমি নির্ধারণ করি না, এটি করে ব্যাংক। আমরা শুধু অনুরোধ করতে পারি।
 
বৃহস্পতিবার (১২ নভেম্বর) বিকেলে জাতীয় সংসদে প্রশ্ন-উত্তর পর্বে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজি মো. সেলিমের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এসব কথা বলেন। একই প্রশ্ন করেন জাসদের কার্যকরী সভাপতি মইনউদ্দীন খান বাদলও।
 
বৃহস্পতিবারের একটি পত্রিকায় প্রকাশিত খবরের সূত্র তুলে ধরে হাজি সেলিম বলেন, আজকের পত্রিকায় উঠেছে- অলস অর্থ পড়ে আছে। ব্যাংক দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে ব্যবসায়ীদের খুঁজছে। কেউ কোনো ব্যবসা করছে না। আবার এলসি কমেছে। আর এলসি কমবেই, কারণ আপনি সুদ কমাননি। এখনও সুদ সাড়ে ১২/১৩ শতাংশ করে রেখেছেন।

জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ব্যাংকিং সিস্টেম নিজের গতিতে চলে। আইনের জোরে চলে না। যা ঠিক নয়। আমি আইন প্রণয়ন করতে পারি। কিন্তু তারা কতটা সুদের হার নির্ধারণ করবেন সেটি আমি বলতে পারি না। সুদের হার আমি নির্ধারণও করি না। আমার সরকারও কিছু করে না। সুদের হার নির্ধারণ করেন ব্যাংকার এবং ব্যবসায়ীরা।
 
অলস পয়সার জন্য ব্যবসায়ীরা নিজেরাই দায়ী মন্তব্য করে অর্থমন্ত্রী বলেন, যদি আমাদের ব্যবসায়ীরা তাদের প্রফিটেট (লাভজনক) শেয়ার একটু কমাতে চান, সামান্য কমান তাহলেই দেশের মানুষ রক্ষা পাবেন এবং অলস পয়সা থাকবে না।
 
তিনি আরও বলেন, যে ব্যবসায়ীরা অনেক সময় অভিযোগ করেন উচ্চ সুদের কারণে তারা বিনিয়োগ করতে পারছেন না, তারাই আবার যখন ব্যাংক মালিক হন তখন সুদের হার কমাতে চান না।
 
অর্থমন্ত্রী বলেন, অনুরোধ করি যতটুকু কমানো যায়, সেটি আমরা করি। আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংক বলতে পারে- আপনার মার্জিনের বেশি হওয়া উচিত না। এখন সুদের হার ১০ শতাংশের কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে।

তবে এখনও না পৌঁছলেও পৌঁছার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে বলেও দাবি করেন মন্ত্রী।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৫
এসএম/আইএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।