ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সিলেটে সাড়ে চার লাখ হেক্টরে বোরো চাষ

আব্দুল্লাহ আল নোমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
সিলেটে সাড়ে চার লাখ হেক্টরে বোরো চাষ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সিলেট: বিদায় নিচ্ছে অগ্রহায়ণ। বীজ তলায় গজিয়েছে সবুজ চারা।

দম ফেলার ফুরসত নেই চাষিদের। বোরো ফসল চাষে শুরু হয়েছে তোড়জোড়। চাষাবাদের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে জমি। এমন ব্যস্ততা কৃষক পরিবারগুলোতে।

হাওরাঞ্চল বেষ্টিত সিলেটের চার জেলার বিস্তৃর্ণ জমিতে এবারও বোরো চাষের ধুম পড়েছে। ট্রাক্টর দিয়ে চাষের মাধ্যমে জমি চাষাবাদের উপযোগী করা হচ্ছে। প্রস্তুত করা হয়েছে সেচ যন্ত্রও। সব মিলিয়ে এবার সিলেটের কৃষাণ পরিবারগুলোর ব্যস্ততার অন্ত নেই।
 
সিলেট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, এবার বিভাগের চার জেলায় ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৮৩৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি হাওর বেষ্টিত সুনামগঞ্জ জেলায়। এখানে ২ লাখ ১৫ হাজার ৯১৭ হেক্টর জমি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।

এছাড়াও  হবিগঞ্জে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ হেক্টর, সিলেট জেলায় ৭৬ হাজার ৮৩৩ হেক্টর, মৌলভীবাজারে ৫০ হাজার ৪৮৫ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হচ্ছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সিলেটের উপ-পরিচালক ড. মো. মামুন উর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বীজতলা প্রস্তুত হয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষকরা বীজতলা তৈরি করেছেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয় সামনে রেখে অতিরিক্ত কিছু বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।

চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি বলেন- কৃষকরা বীজ, সার সঠিকভাবে পাচ্ছেন। যে কারণে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে।

জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আব্দুল্লাহ জানান,  বোরো ধানের চারার উৎপাদন ভালো হয়েছে। চারাগুলোও বেশপুষ্ট। পোকামাকড়ের প্রাদুর্ভাব নেই। যে কারণে বেশি জমিতে বোরো আবাদ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সিলেটের লামাকাজি এলাকার কৃষক আবুল হোসেন জানান, আগের বছর তিন বিঘা জমিতে বোরো চাষ করি। ফলন তেমন ভালো হয়নি। তবে এবার শীত ও কুয়াশা অগ্রিম না আসায় চারা উৎপাদন ভালো হয়েছে। প্রকৃতির বিরূপ প্রভাব না পড়লে এবার ফলন ভালো হবে। এবারও ৩ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করছেন বলে জানান তিনি।

সিলেট সদর উপজেলার টুকেরবাজার এলাকার চাষি ফিরোজ আলী বাংলানিউজকে বলেন, আমার নিজের কোনো জমি নেই। তবে ছেলেদের নিয়ে ৪ বিঘা জমিতে বর্গাচাষ করছি। খেত করার পর মালিককে অর্ধেক দিতে হবে। কারণ বীজ ও হালের খরচ তিনি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
এএএন/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।