ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করলো এনআরবিসি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করলো এনআরবিসি ছবি: বাদল / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: এজেন্ট ব্যাংকিং চালু করেছে এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে গ্রাহকরা হিসাব খোলা, নগদ টাকা জমা ও উত্তোলনসহ ১০ ধরনের সেবা পাবেন।



বৃহস্পতিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এনআরবিসির এই ব্যাংকিং সেবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
 
এনআরবিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ব্যাংকটির এজেন্ট ব্যাংকিং গ্রাহক ও শাখার গ্রাহকদের মধ্যে কোনো পার্থক্য থাকবে না। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের আওতায় গ্রাহকরা ক্লিয়ারিং চেক সংগ্রহ, হিসাবের ব্যালেন্স জানা, ফান্ড স্থানান্তর, আইএফআরসহ সব ধরনের লেন-দেন, ইউটিলিটি বিল জমা, কৃষি ও ক্ষুদ্র ঋণের আবেদন, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের আবেদন ও ইন্টারনেটের মাধ্যমে ফান্ড স্থানান্তরের সেবা নিতে পারবেন।
 
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গভর্নর বলেন, বর্তমান সরকার ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে ‘রূপকল্প ২০২১’ বাস্তবায়ন করে চলেছে। এজন্য দেশের দারিদ্র্য নিরসন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, টেকসই অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও উচ্চতর প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনি কর্মসূচির আওতায় নানা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে।
 
সরকারের এসব লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ ব্যাংকও প্রচলিত ব্যাংকিংয়ের ধারা অক্ষুন্ন রেখে সমাজের নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে আর্থিক সেবার আরও প্রসার ঘটানোর উদ্যোগ নিয়েছে। অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং, দারিদ্র্য নিরসন, নারীর ক্ষমতায়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার এক নয়া ধারা চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যা দেশের আর্থিক খাতকে দিয়েছে এক মানবিক চেহারা- বলেন ড. আতিউর রহমান।
 
তিনি বলেন, সরকার জাতীয় বাজেটের ১২ শতাংশের মতো বরাদ্দ রাখছে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনিতে। এর আওতায় প্রদত্ত ভাতা গ্রহণে উপকারভোগীদের যাতে কোনো ভোগান্তির সম্মুখীন হতে না হয় সেজন্য ব্যাংকগুলোকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ১০ টাকায় ব্যাংক হিসাব খোলার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। মানুষের দুয়ারে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছানোর জন্য এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মতো সৃজনশীল সেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
 
গভর্নর বলেন, দেশের আনাচে কানাচে কম খরচে ব্যাংকের অনুরূপ প্রযুক্তিনির্ভর সেবা পৌঁছাতে ২০১৩’র ডিসেম্বরে ‘এজেন্ট ব্যাংকিং’ গাইডলাইনের প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক। নীতিমালা মেনে যে কোনো ব্যাংক এখন এজেন্ট নিয়োগ করে বিভিন্ন সেবা দিতে পারে।
 
এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে মেট্রোপলিটন, সিটি কর্পোরেশন বা পৌরসভা এলাকায় একটি এজেন্ট নিয়োগ দিলে এর বাইরে অর্থাৎ প্রত্যন্ত গ্রামে দিতে হবে দুটি। এজেন্টদের মাধ্যমে গ্রাহক পর্যায়ে দৈনিক সর্বোচ্চ দ‍ুই বার পঁচিশ হাজার টাকা পর্যন্ত নগদ জমা বা উত্তোলন করা যাবে বলেও জানান গভর্নর।
 
তিনি জানান, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও তথ্যপ্রযুক্তি-নির্ভর আর্থিক সেবা দিতে সক্ষম, এমন শিক্ষিত ব্যক্তি, এমআরএ নিয়ন্ত্রিত এমএফআই, সমবায় সমিতি, পোস্ট অফিস, অ-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কোম্পানি আইনের অধীনে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান, মোবাইল নেটওয়ার্ক কোম্পানির এজেন্ট, বীমা কোম্পানির শাখা, ওষুধের দোকান, চেইন শপ, পেট্রল পাম্প, সিএনজি স্টেশন এবং স্থানীয় সরকারের অফিসগুলো এজেন্ট হিসেবে কাজ করতে পারবে। তবে, ব্যাংক-সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তিকে এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া যাবে না।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৫
এএসএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।