আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা থেকে: আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় প্যাভিলিয়ন ও স্টলের বরাদ্দের টাকা পরিশোধ না করায় ওইসব প্যাভিলিয়ন ও স্টলের মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে মেলা কমিটি।
এদিকে অভিযান শেষে অভিযুক্ত প্যাভিলিয়ন, স্টলের কর্মী ও মালিকরা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন মেলা প্রাঙ্গণে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা সোয়া ১১টার দিকে অভিযান শেষ হয়। এরপরেই শুরু হয় বিক্ষোভ মিছিল।
মেলা কমিটির সেক্রেটারি মেম্বার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি মোহাম্মাদ রেজাউল করিম অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
অভিযান শেষে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এখনো অনেক প্যাভিলিয়ন, স্টল ও হোটেল মালিকরা ফি পরিশোধ করেন নি। তাদের বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
তিনি জানান, ১০টি প্যাভিলিয়ন ও স্টল এবং তিনটি হোটেলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে। টাকা পরিশোধ করলে ফের তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হবে।
প্রথমেই ফি না নিয়ে তাদের প্যাভিলিয়ন ও স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে কেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, প্রথমে তাদের ওপর এমন চাপ দিলে অনেকেই মেলায় অংশগ্রহণ করেন না। ফলে অনেক জায়গা ফাঁকা থাকে। আর ফাঁকা জায়গা ময়লা, আবর্জনায় ভরে যায়। তাই ধীরে ধীরে এই ফি তুলে নেওয়া হয়।
খুব বেশি প্যাভিলিয়ন ও স্টলের টাকা বকেয়া নেই। এটা একটি নিয়মিত কাজ, যোগ করেন তিনি।
এদিকে অভিযান শেষে ডেপুটি সেক্রেটারি রেজাউল করিম মেলা প্রাঙ্গণ ত্যাগ করলে বিক্ষোভ শুরু করেন অভিযুক্ত প্যাভিলিয়ন, স্টলের মালিক ও কর্মীরা। এসময় মেলা প্রাঙ্গণে বেশ উত্তেজনাও দেখা দেয়।
বিক্ষোভ করার সময় একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান, বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন ও স্টলের মালিকের কাছে অতিরিক্ত টাকা চেয়েছেন রেজাউল করিম। টাকা না দেওয়ার কারণে তিনি এভাবে হঠাৎ অভিযান চালিয়েছেন।
তবে এ অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রেজাউল করিম। তিনি বলেন, টাকা পরিশোধ না করার জন্য তারা এ ধরনের বানোয়াট কথা বলছে।
বর্তমানে মেলা প্রাঙ্গণ স্বাভাবিক রয়েছে। দর্শনার্থীদের উপস্থিতি ধীরে ধীরে বাড়ছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো সূত্র জানায়, মেলায় মোট ৫৫৩টি প্যাভিলিয়ন, স্টল অংশ নিয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁও এলাকায় চলমান এ মেলায় দেশ-বিদেশের স্টলে নানা পণ্যের সমাহার রয়েছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকছে মেলা প্রাঙ্গণ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
একে/জেডএস