ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় ৭৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব

মফিজুল সাদিক, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
সুন্দরবনের জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় ৭৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম(ফাইল ফটো)

ঢাকা: সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষাসহ চলমান প্রকল্পে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) অতিরিক্ত ৭৬০ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
 
সম্প্রতি পানি সম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বরাবর এই প্রস্তাব করেন বলে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানিয়েছেন।



প্রস্তাবে আনিসুল ইসলাম মাহমুদ পরিকল্পনা মন্ত্রীকে জানান, সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষায় সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে চলাচল করা নৌযান মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে চলাচল করবে। সেই লক্ষ্যে ‘বাগেরহাট জেলার ৮৩টি নদী, খাল পুনঃখনন এবং বিভিন্ন স্থানের পলি অপসারণ করতে হবে। যাতে করে চ্যানেলটির নাব্যতা বৃদ্ধি পায়।
 
প্রকল্পটি জরুরি ভিত্তিতে অনুমোদন এবং প্রকল্পের মূল কাজ বাস্তবায়নকালীন সুষ্ঠুভাবে শেষ করার লক্ষ্যে ২০১৫-১৬, ২০১৬-১৭ ও ২০১৭-১৮ অর্থবছরের এডিপিতে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের অনুকূলে অতিরিক্ত ৭৫৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রয়োজন। এই বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।
 
পানি সম্পদ মন্ত্রী পরিকল্পনা মন্ত্রী আরও বলেন, ২০১৫-১৬ অর্থবছরের এডিপি’তে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের থোক বরাদ্দসহ মোট ৫০টি প্রকল্পের অনুকূলে ৩ হাজার ৬২ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ইতোমধ্যে চলতি অর্থবছরে ১৬টি নতুন প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। আরও ১০টি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। ফলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো বাড়তি বরাদ্দ না পেলে বাস্তবায়ন করা অসম্ভব।
 
অন্যদিকে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে আরও জানা গেছে, বিভিন্ন জেলায় নদী ভাঙন রোধ, কৃষি জমি রক্ষা, গুরুত্বপূর্ণ ও ঐতিহাসিক স্থাপনা রক্ষা, কৃষি জমিতে সেচ সুবিধা, জলাবদ্ধতা রোধ এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে মন্ত্রণালয়ে নানা প্রকল্প চালু রয়েছে।
 
মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেলর নাব্যতা ৭৬০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। জানুয়ারি-২০১৬ থেকে জুন-২০২৩ মেয়াদে শেষ হবে। তবে প্রকল্পের মূল কাজ জুন-২০১৮’তে সমাপ্তির জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে নাব্যতা চালু রাখার জন্য পরবর্তী ৫ বছর প্রকল্পের টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট (টিআরএম) চালু রাখার জন্য আরও ১০ কোটি টাকার প্রয়োজন বলে জানায় পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়।
 
এই প্রসঙ্গে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (বাজেট ও অডিট) কাজী ওবায়দুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, মন্ত্রণালয়ের চাহিদার ওপর ভিত্তি করে প্রতি বছরই বরাদ্দ চাওয়া হয়। এবারও সেই ধারাবাহিকতায় বাড়তি বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে। পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের চলমান প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে গিয়ে অতিরিক্ত দামে পাথর কিনতে হচ্ছে যে কারণে বাড়তি বরাদ্দ চাওয়া হচ্ছে।
 
‘সুন্দরবনের প্রাকৃতিক ভারসাম্য ও জীব-বৈচিত্র্য রক্ষার্থে বনের ভেতর দিয়ে চলাচল করা নৌযান মংলা-ঘষিয়াখালী চ্যানেল দিয়ে চলাচল করবে। এতে করে এই খাল খননেও বাড়তি অর্থ প্রয়োজন। এখন বরাদ্দ চাওয়া হলেও চলতি অর্থবছরের মাচ মাসে ত্রি-পক্ষীয় বৈঠকে (অর্থ, পরিকল্পনা ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়) বরাদ্দের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
এমআইএস/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।