আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা থেকে: মেলায় ঘুরতে ঘুরতে হঠাৎ দৃষ্টি কাড়ে যে স্থাপনা সেটি বাংলাদেশের পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার। বর্তমানে ধ্বংসপ্রাপ্ত এই প্রাচীন বৌদ্ধবিহার পালবংশের দ্বিতীয় রাজা শ্রী ধর্মপাল দেব অষ্টম শতকের শেষের দিকে বা নবম শতকে তৈরি করছিলেন।
বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানের মর্যাদা পাওয়া পাহাড়পুরের ভেতরে সারা বাংলাদেশের ঐতিহ্য নিদর্শনের ছবি তুলে ধরে পর্যটক আকর্ষণে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বিটিবি।
ভেতরে প্রদর্শন করা হচ্ছে বাংলাদেশ ব্রান্ডিং-এর ‘বিউটিফুল বাংলাদেশ’-এর প্রামাণ্যচিত্র। বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে বাংলাদেশে পর্যটক আকর্ষণের শত শত তথ্য সম্বলিত স্টিকার, লিফলেটসহ নানা উপহার সামগ্রী।
আকর্ষণ হিসেবে আরও রয়েছে ঘোষিত পর্যটন বর্ষের লোগো ‘ভিজিট বাংলাদেশ’ নিয়ে বিশেষ ‘পাজল খেলা’ এবং ডাট । এ খেলায় জিতে যে কেউ জিতে নিতে পারেন মজার মজার সব পুরস্কার।
তরুণ-তরুণীরা মেলার পাহাড়পুরে প্রবেশ মাত্রই পাচ্ছেন আকষর্ণীয় একটি বাঘের ছবিমাখা মুখোশ ও বিভিন্ন স্টিকার।
ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার এই পাহাড়পুর যখন ঘুরে দেখছেন শত শত দর্শনার্থী, তখন সেখানে বাংলানিউজের সঙ্গে কথা বলেন পযটন বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতার আহমেদ।
আকতার আহমেদ জানান, বাংলাদেশে বুদ্ধিস্ট সার্কিট ট্যুরিজম সম্পর্কে জনগণের মধ্যে আগ্রহ সৃষ্টির জন্য এখানে বিশেষভাবে পাহাড়পুরকে উপস্থাপন করা হয়েছে। তবে এর ভেতরে রয়েছে বাংলাদেশের বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যের তথ্যও।
শিশুরাও এখানে এসে বাংলাদেশ সম্পর্কে এবং দেশের পর্যটন নিয়ে খেলার ছলে শেখার সুযোগ পাচ্ছে।
পর্যটন বোর্ডের এই কর্মকর্তা আরও জানান, মূলত এখানে ‘ভিজিট বাংলাদেশ ২০১৬’ ক্যাম্পেইন চালানো হচ্ছে। এর মাধ্যমে মেলায় আসা দেশি-বিদেশি দর্শনার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন স্থানগুলোতে ভ্রমণে আগ্রহ সৃষ্টি করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।
এছাড়া মেলা ঘুরতে আসা সব শ্রেণীর মানুষের কাছে বাংলাদেশের পর্যটন, দেশীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য তুলে ধরা হচ্ছে।
মেলা ঘুরে দেখা গেছে, দর্শনার্থীদের একটি বড় অংশ প্রতিদিন উপভোগ করছেন পাহাড়পুরের ভেতরের এই বাংলাদেশকে।
অনেকেই এখানে রাখা মন্তব্য বইয়ে তাদের মন্তব্য লিখে আনন্দ প্রকাশ করছেন। কেউ কেউ পর্যটন সম্পর্কিত নানা পরামর্শও তুলে ধরছেন তাদের মন্তব্যে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৬
এসএ/এএসআর