ঢাকা: হঠাৎ বৃষ্টি। সঙ্গে শৈত্য প্রবাহ।
বিকেলেই মেলায় আগত ক্রেতা-দর্শনার্থীদের ভিড় হয় বেশি। সে ধারাবাহিকতা ছিল বুধবার বিকেলেও। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টি আর সঙ্গে শৈত্য প্রবাহে চরম ভোগান্তিতে পড়েন দর্শনার্থীরা।
অনেকে পরিবারের সদস্য, বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের নিয়ে এসেছেন, বৃষ্টিতে তাদের অনেকেই খানিকটা ভিজে যান। হঠাৎ বৃষ্টিতে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা আশ্রয় নেন স্টল ও প্যাভেলিয়নগুলোতে।
বৃষ্টিতে কেবল ক্রেতা-দর্শনার্থীদেরই নয়, ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে মেলার স্টল মালিকদেরও। তাদের কেনাকাটায় পড়েছে ভাটা।
এরমধ্যে প্রায় ১৫ মিনিট মেলা বিদ্যুৎহীন থাকায় স্টল মালিকদের ভোগান্তি যেন চরম পৌঁছে। অনেক স্টলে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্রি করতে দেখা যায়।
মেলায় দুই ছেলে আরিয়ান, আবির, স্ত্রী লামিয়া ও বোন হুমাইরাকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছেন গাবতলীর টেকনিক্যাল এলাকার বাসিন্দা ব্যাংকার ইয়াকুব হোসেন।
তিনি জানান, গেট দিয়ে প্রবেশের পরপরই হঠাৎ বৃষ্টি। সঙ্গে প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই ছেলে ও স্ত্রী ভিজে জবুথবু। এমন বৃষ্টি হবে জানলে আসতাম না।
দুই বান্ধবী আকিকা ও সুমাইয়া মোবাইল কিনতে বাণিজ্য মেলায় এসেছেন শেওড়াপাড়া থেকে। সকালে কলেজ থাকায় বিকেলে এসেছেন। দু’জনই প্রায় ভিজে আশ্রয় নিলেন ওয়ালটন প্যাভেলিয়নে।
আকিকা জানায়, বিকেলে মানুষ বেশি থাকে, দেখতে সুন্দর লাগে। আর সকালে কলেজ ছিল। কিন্তু বৃষ্টি হবে কে জানতো। বৃষ্টি-শীতে দু’জনই অনেকটা কাবু হয়ে যাচ্ছি।
ব্রাদার ফার্নিচারের বিক্রয় প্রতিনিধি আল আমিন জানান, হঠাৎ দেখি মানুষ হুড়োহুড়ি খেয়ে প্যাভিলিয়নে ঢুকে পড়ছে। ভাবলাম, মারপিট লাগলো নাকি। পরে দেখি বৃষ্টি।
তিনি বলেন, একসঙ্গে এতো মানুষ প্যাভেলিয়নে ঢুকে পড়ায় বিক্রিতে সমস্যা হচ্ছে। সঙ্গে পণ্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয় করছি। বিকেলে বৃষ্টিতে কেনাকাটা আগের চেয়ে কম হবে।
ইফাদ প্যাভিলিয়নের বিক্রয় প্রতিনিধি শরীফা জাহান বলেন, প্রতিদিন বিকেল থেকে বিক্রি বাড়ে। আজকে বৃষ্টির কারণে মানুষ কম আসছে। এখন তেমন বিক্রি নেই।
বৃষ্টিতে বড় প্যাভিলিয়নগুলোতে পণ্যের তেমন ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা না থাকলেও বেশি ক্ষতির শঙ্কায় ভুগছেন ছোট স্টল প্যাভিলিয়নগুলোর সংশ্লিষ্টরা। আর একটু বৃষ্টি হলে পণ্য কোথায় রাখবেন সে দুশ্চিন্তাও ভর করেছে তাদের কপালে।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
আরইউ/এইচএ