ঢাকা: নবায়নযোগ্য শক্তি ও সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঋণ কার্যক্রম পরিচালনাকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সরকারের গ্যারান্টি ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তিসহ হাইপোথিকেশনকে সহায়ক জামানত হিসেবে বিবেচনা করা যাবে।
বুধবার (২০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
এতে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠান মূল্যায়নে বৃহৎ তিন ঋণগ্রহীতা খেলাপি হওয়াকে গৌণ আঘাত, বৃহৎ ৫ ঋণগ্রহীতা খেলাপি হওয়াকে মধ্যম আঘাত এবং বৃহৎ ১০ ঋণগ্রহীতা খেলাপি হওয়াকে মুখ্য আঘাত হিসেবে ধরা হয়। এখন থেকে এই তিন ধরনের আঘাতের প্রমাণ রূপরেখা একই করে দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ের আঘাতের কারণে বৃহৎ ঋণগ্রহীতাদের মধ্যে বিতরণ হওয়া ঋণ বা লিজের ১০০ শতাংশের পরিবর্তে ৮০ শতাংশ ঋণ বা লিজ খেলাপি হিসেবে ধরা হবে।
এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মান উন্নত হবে। তবে মূল খেলাপি ঋণ বা এর বিপরীতে অবশ্যই সংরক্ষণের হার (প্রভিশন) কমবে না।
এছাড়া স্ট্রেস টেস্টিংয়ের ক্ষেত্রে ভারিত অস্বচ্ছলতা অনুপাতের মান আগের তুলনায় কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে বর্তমানে ভারিত অসচ্ছলতা অনুপাত ১০ শতাংশের কম বা সমান থাকলে সেটিকে গ্রিন জোনে শ্রেণিকরণ করার বিধান রয়েছে। একে সংশোধন করে ১৫ শতাংশের কম করা হয়েছে। এ জন্য রেটিং পয়েন্ট ধরা হয়েছে ‘এক’।
একইভাবে হলুদ জোনের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ভারিত অস্বচ্ছলতা অনুপাত ১০ শতাংশের বেশি কিন্তু ৪০ শতাংশের কম নির্ধারিত রয়েছে। এটিকে সংশোধন করে ১৫ শতাংশের বেশি কিন্তু ৪৫ শতাংশের কম হলে হলুদ জোনের অন্তর্ভুক্ত করার বিধান করা হয়েছে।
এজন্য রেটিং পয়েন্ট নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ শতাংশের কম বা সমান কিন্তু ২৫ শতাংশের কম হলে ‘দুই’ পয়েন্ট এবং ২৫ শতাংশের কম বা সমান কিন্তু ৪৫ শতাংশের কম হলে ‘তিন’ পয়েন্ট।
আর বিদ্যমান অস্বচ্ছলতা অনুপাত ৪০ শতাংশের কম বা সমান কিন্তু ৬০ শতাংশের বেশি হলে লাল জোনের অন্তর্ভুক্ত করার বিধান রয়েছে।
এটি সংশোধন করে ৪৫ শতাংশের কম বা সমান; কিন্তু ৬০ শতাংশের বেশি হলে রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ জন্য শ্রেণি অনুসারে রেটিং পয়েন্ট ‘চার’ এবং ‘পাঁচ’ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৫৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২০, ২০১৬
এসই/এমএ