ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

ভোলার মেঘনায় অসময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ!

ছোটন সাহা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
ভোলার মেঘনায় অসময়ে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ! ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভোলা: ভরা মৌসুমে ইলিশ না মিললেও অসময়ে ভোলার মেঘনায় ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।

অসময়ে জেলেদের জালে এ ইলিশ ধরা পড়ায় জাল ও নৌকা নিয়ে রাত-দিন নদীতে ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন জেলেরা।



অন্যদিকে জেলে, মহাজন আর পাইকারদের হাকডাকে মৎস্য ঘাটগুলোও জমজমাট হয়ে উঠেছে। মাছ বিক্রি করে বিগত দিনের লোকসান কাটিয়ে উঠবেন বলে আশাবাদী জেলে ও আড়ৎদাররা।

মৎস্য ঘাট ঘুরে জেলে ও আড়ৎদারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভরা মৌসুমে ইলিশ খুব একটা মেলেনি, শীতেও জাল আর নৌকা নিয়ে নদীর একপ্রাপ্ত থেকে অন্যপ্রান্ত ঘুরে বেড়ালেও ভোলার জেলেদের জালে মেলেনি ইলিশের দেখা।

কিন্তু এক সপ্তাহ ধরে হঠাৎ করেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ মিলছে জেলেদের জালে। এতে আনন্দ নিয়ে সারাক্ষণ মাছ শিকারে ব্যস্ত দেখা যাচ্ছে জেলেদের। মাছ ধরা পড়ায় জিমিয়ে পড়া মৎস্য আড়ৎগুলোও এখন ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাকডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে। জেলেদের আহরণকৃত ইলিশ এখন ভোলার বাজার ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে ঢাকা ও বরিশালের আড়তে।

জেলে লোকমান বলেন, মৌসুমের শুরুতে ইলিশ না পাওয়ায় ধার-দেনা করে আর্থিক কষ্টে ভুগছি, এখন মাছ পাওয়া যাচ্ছে, বিক্রি করে দেনা পরিশোধ করবো।

ইয়াছিন বলেন, ইলিশ পাওয়াতে বেকার জেলেরা কর্মচঞ্চল হয়ে উঠেছে, জেলে পল্লীতে চলছে উৎসবের আমেজ।

আড়ৎদার মাসুদ রানা বলেন, ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে তবে মাঝারী সাইজের, তাই দাম একটু কম।

অপর আড়ৎদার সিরাজ ও রুবেল বলেন, পাইকারী মাছের চাহিদা বেশি থাকায় জেলার বাইরে ইলিশ বিক্রি করছি, তবে অবৈধ জালের ব্যবহার বন্ধ হলে আরো বেশি পরিমাণে মাছের দেখা মিলতো বলে জানান তিনি।
 
জেলা মৎস্য অফিসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৪ সালে জেলায় এক লাখ পাঁচ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। গত মৌসুমে তা কমে মাত্র ৯৫ হাজার মেট্রিন টনে নেমে এসেছে। তবে এ মুহূর্তে ইলিশের পরিমাণ অনেক বেশি।

এ ব্যাপারে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা প্রীতিষ কুমার মল্লিক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে মৌসুমের শুরুতে ইলিশের দেখা মেলেনি, এখন সাগর থেকে ইলিশ নদীতে আসা শুরু করছে। গত দুই সপ্তাহ প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ উৎপাদন হয়েছে। অসময়ে ইলিশ উৎপাদনের এ ধরাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বিগত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে।

এদিকে বাজার দাম তুলনামূলক কম হলেও অসময়ে ইলিশ পাওয়াতে দাদন আর লোকসান কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চিন্তা করছেন জেলে ও মৎস্য আড়ৎদাররা।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০১৬
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।