ঢাকা: আর এক সপ্তাহ, এর পরে পর্দা নামবে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার। শেষ কয়েকদিনের মেলায় প্রতিদিনই কেনাকাটার ধুম।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ২৩তম দিন শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল থেকেই চাকরিজীবীরা পরিবার-পরিজন নিয়ে এসেছেন। তাদের পাশাপাশি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষেরও ঢল নেমেছে।
সকাল ১০টা থেকে মেলার গেট দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত হলেও হঠাৎ করে শীত জেঁকে বসেছে। সূর্যেরও দেখা মিলেছে একটু দেরিতে। নির্দিষ্ট সময়ে স্টলগুলো খুললেও দর্শনার্থীদের আড়মোড় ভাঙতে লেগেছে একটু দেরি।
মেলার শেষ দশকে ছুটির দিনগুলোতে বেচাকেনা বেশি বলে জানাচ্ছেন ক্রেতা-দর্শনার্থী ও বিক্রেতারা। এজন্য প্রস্তুতিও ভালো।
ফার্নিচার, বিভিন্ন পোশাক, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের কয়েকটি স্টল ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতারা দাম-দর করছেন। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কিনলেও ফার্নিচারের অর্ডার দিতে দেখা যাচ্ছে।
কেনাবেচার পাশাপাশি বিনোদনপ্রেমী শিশুদেরও মেলায় উপভোগ করতে দেখা গেছে। কেনা-কাটার পাশাপাশি ছোট বাচ্চাদের বিনোদনের জন্য নগরদোলাতেও ভিড় লক্ষ্য করা গেছে সকাল সকাল।
মা-বাবার সঙ্গে আসা ছোট শিশুদের উঠতে দেখা গেছে মেলায় প্রবেশ দ্বারের পাশের নগরদোলায়। ৩০ টাকায় নগরদোলা, খেলনা ট্রেনসহ হাতি-ঘোড়াসহ বিভিন্ন পশুপাখির পিঠে উঠতে দেখা যায় শিশুদের। আর এ নিয়ে উচ্ছ্বাস মা-বাবাদেরও।
মিরপুর থেকে এসেছেন সরকারি চাকরিজীবী আরিফুল ইসলাম, তার সঙ্গে ছোট দুই সন্তান। সাত বছরের বড় বোনের সঙ্গে ঘোড়ার পিঠে উঠেছে চার বছরের সজীব। তাদের মতো অনেককেই এভাবে উপভোগ করতে দেখা যায়।
মেলার কেন্দ্র গোল চত্বরে বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন, সেখানে বঙ্গবন্ধুর জীবন-দর্শন ও স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাস জানার সুযোগ হচ্ছে দর্শনার্থীদের। ছবি, তথ্যচিত্র ও চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলছে এ ব্যবস্থা।
মেলায় দর্শনার্থীদের জন্য বিভিন্ন তথ্য সরবরাহের ব্যবস্থা করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)।
ইপিবি’র লাইব্রেরিয়ান শাহজাহান আলী জানান, দর্শনার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে লে-আউট ম্যাপ সরবরাহ করা হয়, যাতে সহজেই তারা প্যাভিলিয়ন ও স্টল খুঁজে নিতে পারেন।
শুক্রবার দর্শনার্থীর আগমনে মেলাস্থলে পা ফেলার জায়গা ছিলো না। শুক্রবারের মতোই শনিবারও মেলায় ভিড় থাকবে বলে আশা করেন শাহজাহান আলী।
প্রতিদিন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে মেলা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত, বিভিন্ন ক্যাটাগরির মোট প্যাভিলিয়ন সংখ্যা ৯৭টি, মিনি প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৫৮টি, স্টলের সংখ্যা ৩৫১টি ও রেস্তোরাঁ রয়েছে ১০টি।
মেলায় প্রবেশ মূল্য ১২ বছর পর্যন্ত ২০ টাকা, তার উপরে প্রাপ্ত বয়স্কদের জনপ্রতি ৩০ টাকা। মেলায় ভিআইপি গেটে আগমন ও নির্গমনের জন্য আলাদা ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৬
এমআইএইচ/এএ