ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

দেশে আরও ৩০ ইপিজেড হবে

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৬
দেশে আরও ৩০ ইপিজেড হবে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ

ঢাকা: দেশে আরও ৩০টি রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (ইপিজেড) গড়ে তোলা হবে। এরমধ্যে একটি হবে কুষ্টিয়ায়।

আমাদের লক্ষ্য ভারতীয় ব্যবসায়ীদের এ দেশের শিল্পখাতে বিনোয়োগে আকৃষ্ট করা।

রোববার (০৭ ফেব্রুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে রাজধানীর সচিবালয়ের বাণিজ্য মন্ত্রলায়য়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এসব কথা বলেন।

এর আগে বাণিজ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশে নবনিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্বাধীনতার বিশ্বস্ত বন্ধু হিসেবে ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধকালে তারা আমাদের এক কোটি অসহায় মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে, খাদ্য দিয়েছে। অনেক পরাশক্তির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এর আগে বাংলাদেশে ১৩ বার সফরে এসেছেন। গত জুনে ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের যে চুক্তিগুলো স্বাক্ষরিত হয়েছে। তার অনেকটাই কৃতিত্ব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলার। তাই কেউ আমাদের এ বন্ধন ছিন্ন করতে পারবে না।

আমাদের যেমন ৩০ লাখ মানুষ শহীদ হয়েছেন। তেমনি ভারতের ১৭ হাজার মিত্র সেনানী আমাদের মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ উৎসর্গ করেছেন। রক্তের বন্ধনে আমাদের এ বন্ধুত্ব। আমাদের রফতানি পণ্যের অধিকাংশই তারা শুল্ক ছাড় দিয়েছে- যোগ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।

পাট রফতানি নিয়ে যে বাধা রয়েছে তা অচিরেই সুরাহা হবে বলে বাণিজ্যমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ভারত থেকে আমরা বছরে ৫শ’ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে থাকি।

তোফায়েল বলেন, আমরা সে দেশে রফতানি করি ৬০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। উভয় দেশের স্বার্থে আগামীতে মধ্যে পণ্য রফতানি ও আমদানি আরও বাড়বে। ইউরোপে আমাদের পন্য রফতানির পরিমাণ ১৭ বিলিয়ন ডলার।

মন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গত জুনে বাংলাদেশে সফরের মধ্য দিয়ে দু’দেশের দীর্ঘদিন ঝুলে থাকা অমীমাংসিত ছিটমহলগুলোর সমস্যার সমাধান হয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের ছিটমহলবাসী তাদের সম্মানজনক নাগরিক পরিচিতি লাভ করেছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সহায়তায় রামপালে ১৩০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। ভারত থেকে আমরা আরও ৫শ’ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করতে যাচ্ছি।

এ সময় ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সহযোদ্ধা হিসেবে আমাদের মধ্যে এমন চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।

হাইকমিশনার বলেন, উভয় দেশের স্বার্থে আমরা অনেক পণ্য শুল্কমুক্ত করেছি। এতে আমাদের মধ্যে বাণিজ্য আরও বাড়বে। দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক খুবই ভালো।

বাণিজ্য বাড়ানো জন্য আগামী মার্চে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধিদল ভারত সফরে যাবে।

এ প্রসঙ্গে শ্রিংলা বলেন, বাংলাদেশ থেকে পাট রফতানি না হওয়ায়, আমাদের দেশের অনেক পাটকল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আশাকরি এ বাধা দূর হবে অচিরেই।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ভারতের নবনিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনার ড. আদর্শ সোয়াইকা, বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল সেক্রেটারি মনোজ কুমার রায় প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৭, ২০১৬/ আপডেট: ১৭৫৪ ঘণ্টা
এসএস/টিআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।