ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে চলবে পণ্যবাহী জাহাজ

সিনিয়র স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে চলবে পণ্যবাহী জাহাজ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: সমুদ্রপথে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে নিজেদের রানং বন্দরের সংযোগ করতে চায় থাইল্যান্ড। এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তি করার বিষয়েও সম্মত হয়েছে দুই দেশ।

চুক্তি হলে উভয় দেশের মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।

মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক মাধব রায় এবং অপর পক্ষে নেতৃত্বদেন থাইল্যান্ডের পোর্ট অথরিটির সহকারী মহাপরিচালক প্রজাক শ্রীভাথানা।

বাংলাদেশি প্রতিনিধিদলের পক্ষে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিম এবং পররাষ্ট্র, বাণিজ্য, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক এলাকা কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম বন্দর,মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ও নৌখাতের বিভিন্ন বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।  

আর থাইল্যান্ড পোর্ট অথরিটির পক্ষে ছিলেন-উপ-পরিচালক সমচাই হেমথং,পরিচালক সাসিপাত নান্দিগুপ্তা, বিজনেস প্রমোশন প্রধান তানাই ভিপাসাথাভাচ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা কানচিসা দিরদ, র‌্যানং প্রদেশের গভর্নর সুরাইয়ান কানজানাসিল্প, সহকারী জেলা প্রধান কর্মকর্তা নপোল সুকিতপানীনিদ, চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান সুদাপর্ন জদপিনিজ, থাই শিল্প র্যানং ফেডারেশনের সভাপতি ম্যাথাস র্যাংসিয়ানান, থাই বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিলের সভাপতি মিংপ্যান্ট চায়াভিচিটসিল্প, র্যানং কাস্টমসের পরিচালক রিসদা টংধামাচার্ট এবং একি কুরনিয়াভ্যান।

বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরাসরি সমুদ্রপথে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

এতে ‍জানানো হয়, চট্টগ্রামের বন্দরের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রানং বন্দরের মধ্যে সরাসরি সমুদ্র যোগাযোগ হলে দু’দেশের পণ্য পরিবহনের সময় এবং ব্যয় তিন ভাগের এক ভাগে নেমে আসবে। যা ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এই রুট মায়ানমার ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এটি সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।

দু’দেশের মধ্যে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে উভয় দেশের ব্যবসায়ীরা দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে উৎসাহিত হবেন।

ভারপ্রাপ্ত নৌসচিব অশোক মাধব রায় জানান, বাংলাদেশের নৌবন্দর সম্পর্কে প্রতিনিধিদলকে ধারণা দেওয়া হয়েছে।

‘কীভাবে বন্দরে কাজ হয়, কাস্টমস কীভাবে কাজ করে তা দেখতে বুধবার চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শন করবে থাই প্রতিনিধিদল। এরপর উভয় দেশের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হবে। প্রথম দফায় চট্টগ্রাম বন্দর ও থাইল্যান্ডের রানং বন্দরের মধ্যে চুক্তি হতে পারে। ’ যোগ করেন তিনি।

অশোক মাধব রায় বলেন, সরকারের অনুমোদন নিয়ে নৌযান চলাচল বিষয়ে থাইল্যান্ডের সঙ্গে কোস্টাল শিপিং চুক্তি হবে। ওই চুক্তি হলে রুট কমে যাবে। এতে সময় এবং রুট কমে যাবে। থাইল্যান্ডের যেসব জায়গা থেকে বাংলাদেশে মালামাল আসে সেসব পোর্টের সঙ্গে চুক্তি করা হবে।

এর আগে ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে মেরিটাইম সহায়তা চুক্তি সম্পন্ন  হয়। যদিও বর্তমানে তা অকার্যকর হয়ে গেছে।

থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাঈদা মুনা তাসনিম বলেন, থাই প্রতিনিধিদল চট্টগ্রাম বন্দর পরিদর্শনের পর চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষও থাইল্যান্ডের বন্দর দেখতে যাবেন। এরপর চুক্তির চিন্তা-ভাবনা রয়েছে।

‘ দুই দেশের মধ্যে বর্তমানে ১০০ কোটি ডলারের দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য হচ্ছে। এই ট্রেড ব্যাংকক ও সিঙ্গাপুরের সঙ্গে ট্রান্সশিপমেন্ট করে হচ্ছে। আমরা এটাকে আরও সরাসরি করার চিন্তা করছি। ‘

তিনি বলেন, সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে কোস্টাল শিপিং চুক্তি করা হয়েছে। একই মডেলেই থাইল্যান্ডের সঙ্গেও চুক্তি করে কীভাবে কানেকটিভিটি আরও বাড়ানো যায় সে বিষয়ে চিন্তা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
জেপি/ওএইচ/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
Veet