ঢাকা, শুক্রবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

অর্থনীতি-ব্যবসা

আর্থিক সূচকে বিডিবিএলের অবনতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
আর্থিক সূচকে বিডিবিএলের অবনতি

ঢাকা: যাত্রা শুরুর পর গ্রাহক আকৃষ্ট করতে নতুন কোনো সেবা ও পণ্য চালু করতে পারেনি বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)। এ কারণে আর্থিক সূচকের সবগুলোতেই অবনতি হয়েছে ব্যাংকটির।


 
সংশ্লিষ্ট সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে ব্যাংকটির পরিচালন মুনাফা ১৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমে হয়েছে ১২২ কোটি টাকা। আগের বছরে পরিচালন মুনাফা ছিল ১৫০ কোটি টাকা।
 
২০১৪ সালে ৩৭০ কোটি টাকা আদায় হলেও ২০১৫ সালে আদায় হয়েছে মাত্র ৩০৪ কোটি টাকা। নিয়মিত ঋণ থেকে আদায় কমেছে ২১ শতাংশ এবং খেলাপী ঋণ থেকে আদায় কমেছে প্রায় ৪৬ শতাংশ।
 
সূত্রমতে, ২০১৪ সালে ব্যাংকটির খেলাপী ঋণ ছিল ৪৪৫ কোটি টাকা। যা ওই বছরে বিতরণকৃত মোট ঋণের ৩২ দশমিক ৫৯ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে ২০১৫ সালে খেলাপী ঋণ ২০৪ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৬৪৯ কোটি টাকা। খেলাপী ঋণের পরিমাণ বেড়েছে প্রায় ৪৬ শতাংশ।
 
এ বিষয়ে বিডিবিএলের চেয়ারম্যান ইয়াছিন আলী বাংলানিউজকে বলেন, দু’টি ভিন্ন ব্যাংকের সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে বিডিবিএল। আগে ব্যাংক দু’টি চলতো বিভিন্ন গ্র্যান্ড ও সরকারের মূলধনে। সে সময় ব্যাংকটির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যে মনোভাব ছিল এখনো সেরকমই রয়ে গেছে। তাদের দিয়ে শতভাগ কাজ করানো অনেক কঠিন।
 
তিনি বলেন, বিডিবিএল এখন বাণিজ্যিক ব্যাংক। কর্মীদের ‘দায়সারা’ ও ‘এড়িয়ে চলা’র মানসিকতা পরিহার করতে হবে। প্রকৃত চিত্র বোর্ডের কাছে উপস্থাপন করতে হবে। ব্যাংকটির এখন মূল ব্যবসা ট্রেজারি ও আন্তঃব্যাংকিং। এ ব্যবসা ভাল নয়। এটা থেকে বের হয়ে আসতে পারলেই উন্নতি করা সম্ভব।
 
সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০৯ সালের ১৬ নভেম্বর বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও বাংলাদেশ শিল্প ঋণ সংস্থাকে একীভূত করে প্রতিষ্ঠা করা হয় বিডিবিএল।
 
শতভাগ রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন এই ব্যাংকটি ২০১৫ সালে ১ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে। এরমধ্যে ৬৪৯ কোটি টাকাই এখন খেলাপী। যা মোট ঋণের ৪৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। ২০১৪ সালে খেলাপী ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৪৫ কোটি টাকা। এক বছরের ব্যবধানে তা ৪৬ শতাংশ বা ২০৪ কোটি টাকা বেড়েছে।
 
এদিকে, ব্যাংকটির সবগুলো আর্থিক সূচকের অবনতির জন্য জন্য অব্যবস্থাপনাকেই দায়ী করেছেন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মুস্তাক আহমেদ। তিনি বলেন, ঋণ গ্রহীতার কাছ থেকে মর্ডগেজ হিসাবে রক্ষিত সম্পদ আছে ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা। বর্তমানে এই জামানতের বাজার দর ৫০০ কোটি টাকার বেশি নয়। ঋণ দেওয়ার সময় সঠিক দায়িত্ব পালন করতে না পরার কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
 
জানতে চাইলে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. জিল্লুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, অতিরিক্ত তারল্য ও খেলাপি ঋণ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছি। ঋণ বিতরণ ও আদায় করতে না পারার জন্য ভেতরে-বাইরে সমস্যা রয়েছে।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০১৬
এসআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।